স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত কবি আমির হামজা কে? জানুন বিস্তারিত

প্রকাশ | ১৫ মার্চ ২০২২, ১৫:৫৩ | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২২, ২২:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সাহিত্য বিভাগে এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন প্রয়াত আমির হামজা। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, আমির হামজা একজন কবি, গীতিকার ও সুরকার। গানও গাইতেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। 

আমির হামজার প্রকাশিত বই দুটি। একটি কবিতার। অন্যটি গানের। কাব্যগ্রন্থের নাম ‘বাঘের থাবা’। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা হয়েছিল কবিতাগুলো। দ্বিতীয় বইটির গানের। ‘পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব তুমি’। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বইটি প্রকাশিত হয়। বইটির গানগুলোতে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন ও তাঁর অবিনাশী রাষ্ট্র দর্শন বিমূর্ত হয়েছে। বইটির মোট গান সংখ্যা ৫২টি। ২০২০ সালে অন্যপ্রকাশ বইটি প্রকাশ করেছে। তাঁর আগে ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি আমির হামজা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি আমির হামজার জন্ম ১৯৩১ সালের ৩ মে। ব্রিটিশ শাসনামলে মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার বরিশাট গ্রামে। আমির হামজার বাবা ইমারত সরদার, মা আবিরণ নেছা। কৈশোরে বাবাকে হারান তিনি। তাই প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা খুব বেশি এগোয়নি তাঁর। মাত্র অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন। প্রথমে প্রাথমিক শিক্ষা নেন বরিশাট কাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরে ভর্তি হন শ্রীপুর মহেশচন্দ্র পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে।

কবি আমির হামজা প্রতিযোগিতামূলক কবি গান ও পালাগান করে অনেক খ্যাতি অর্জন করেন। এটি ছিল তাঁর অনন্য-বৈশিষ্ট্য। তিনি গানের আসরেই গান লিখে, সুর করে, শিল্পী হয়ে তা পরিবেশন করতে পারতেন।  তার কবি জীবনের অপর বৈশিষ্ট্য হলো তিনি তাৎক্ষণিক দেশ ও জাতির হয়ে এমন গান-কবিতা লিখতেন যা শ্রোতারা তাঁর কাছে আশা করত। 

তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শ্রীপুর বাহিনীতে যোগ দিয়ে গৌরবময় ভূমিকা পালন করেন। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য এর আগে তাঁকে ‘সারথী ফাউন্ডেশন সম্মাননা ২০১৫’ প্রদান করা হয়। এবার স্বাধীনতা পুরস্কারের সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে তাকে। পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে পাঁচ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।

এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে আসছে সরকার।

(ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/এইচএফ)