‘আমি নিজের খেয়ে ধানের শীষ করি, ধানের শীষ খেয়ে বিএনপি না’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২১ মার্চ ২০২২, ১১:১৩ | প্রকাশিত : ২১ মার্চ ২০২২, ১১:১২

‘টিভির রাজনৈতিক টক শো’তে যাই না। সেখানে স্বাধীনভাবে কথা বলার জায়গা নাই, আর ডিজিটাল মামলা তো আছেই। সেরকম একটা মামলার ভূক্তভোগী আমি, সঙ্গে রয়েছে বোনাস মামলা। কদিন আগে বিবিসিতে একটা ইন্টারভিউতে সাংবাদিক আকবর হোসেইন বলেছিলেন, দল তো সমালোচনা পছন্দ করে না। সেটা আমিও জানি। তাই বলেছি, দল পছন্দ না করলে আমার কিছু যায় আসে না। আমি নিজের খেয়ে ধানের শীষ করি, ধানের শীষ খেয়ে বিএনপি না।’

‘৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন আর মাগুরায় প্রহসনের উপনির্বাচন গণতান্ত্রিক বিএনপিকে রাজনৈতিক ভাবে লজ্জ্বায় ফেলেছে। ২১ আগস্টের ঘৃণিত গ্রেনেড হামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টাও ছিল জঘন্য। দলের শীর্ষ নেতারা পরবর্তীতে সেটা স্বীকারও করেছেন। তখন ফেসবুক ছিল না, আমিও ছিলাম রাজনৈতিক শিক্ষানবীশ।’

‘১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে বিএনপিতে ঢুকে পড়া হাইব্রিডদের উত্থান ছিল চোখে পড়ার মত। তৃণমূল বিএনপিকে পাশ কাটিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে মনোনয়ন বিক্রি করা হয়েছিল। কুমিল্লা বিএনপির বর্তমান রুটলেস আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক সেটার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ২০০৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার জন্য তদবীর করা ছিল আমার ঐতিহাসিক ভুল। অবশ্যই এর প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে আমাকে।’

‘এখনো মনোনয়ন বাণিজ্যের সাথে জড়িত বিশাল অংশ বিএনপির উচ্চতর পদপদবীতে আছে। সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে দল ইলেকশনে না গেলেও কেন্দ্র থেকে পদ পাওয়া লোকাল বিএনপি নেতাদের বিশাল অংশ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছ থেকে সমর্থন দেয়ার নামে টাকা নিয়েছে, প্রমাণও আছে। এগুলো বিএনপিতে ঘাপটি মেরে থাকা নষ্ট বাণিজ্যিক নেতাদের সোর্স অব ইনকাম।’

‘আমার গানকে ভালোবেসে আমাকে পছন্দ করে রুলিং সরকারের অনেক সমর্থক। বিভিন্ন সময়ে দলের পক্ষে দেয়া রাজনৈতিক পোস্টে এরা কষ্ট পায়, ডিবেটও করে। বর্তমান আওয়ামী লীগও বিএনপির মত হাইব্রিডদের দখলে চলে গেছে। অতি উৎসাহী নব্য আওয়ামী লীগাররাই গত ১৩ বছর আমার উপর অত্যাচার করে আসছে। কিছু আছে আবার ‘আই হেইট পলিটিক্স’ টাইপ আইটেম। এরা বিপদে পড়লে ঠিকই তদবীরের জন্য নেতা ধরে, তখন আর এই বচন মনে থাকে না।’

‘আর কিছু আছে, যারা বলে শিল্পীদের রাজনীতি করা ঠিক না। এগুলো হচ্ছে চরম ডাবল স্ট্যান্ডার্ড শয়তান। আওয়ামী লীগ করলে আবার তাদের হিপোক্রেট মানসিকতার সাথে মিলে যেত। আমার নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আমি এখনো দ্ব্যর্থহীন চিত্তে আনুগত্য প্রকাশ করছি। ২০০১ সালে বিএনপির রাজনীতি আমার গানের ক্যারিয়ার ছারখার করে ফেলেছে, সাফার করেছে পরিবারও।’

‘দলে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী এজেন্টরা এখনো শক্তিশালী। আমার নেতা শহীদ জিয়া বলেছেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। আমি দেশের পক্ষে। আমার নেতা রাখাল রাজা শহীদ জিয়ার অনুগত সৈনিক, উনার ঘোষিত ঊনিশ দফার প্রতি অনুরক্ত। রাজনীতিকে কখনোই আমার ব্যক্তিস্বার্থে কাজে লাগাবো না ইনশাআল্লাহ। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতাসীন বিএনপিরর আমল সেটার প্রমাণ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’

লেখাটি কণ্ঠশিল্পী ও রাজনীতিক আসিফ আকবরের ফেসবুক থেকে নেওয়া

ঢাকাটাইমস/২১ মার্চ/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :