ইউএনও পরিচয়ে প্রতারণা, নারী গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০২২, ১৯:৪২

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বগুড়ার গাবতলীতে ইউএনও পরিচয় দিয়ে চাকরির প্রলোভন এবং ঘর নির্মাণের কথা বলে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জরিনা বেগম নামে এক  নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগীর স্বামী বিপ্লব দাস গাবতলী থানায় অভিযোগ দিলে বিকাল ৩টায় পুলিশ জরিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার জরিনা বেগম গাবতলী উপজেলার তেরপাখী গ্রামের বিকুল হোসেনের স্ত্রী।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রতারক জরিনা বেগম ভুক্তভোগীদের মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে নিজের নাম দীপ্তি রানী এবং নিজেকে গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিত। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসে মাস্টার রোলে অফিস সহকারী পদসহ বিভিন্ন পদে চাকরি এবং ঘর নির্মাণ করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত। গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত তিনি গাবতলী উপজেলার আটজন নারীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে চার লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

প্রতারণার শিকার উপজেলার নিশ্চিন্তপুরের বিনা রানীর স্বামী বিপ্লব দাস জানান, তার স্ত্রী শিক্ষিত। অনেক দিন থেকেই তার স্ত্রী চাকরির চেষ্টায় বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করে আসছিল। এরই মধ্যে একদিন  তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে জরিনা বেগম নিজের নাম দীপ্তি রানী এবং নিজেকে ইউএনও পরিচয় দিয়ে জানায় তাকে তার অফিসে মাস্টার রোলে অফিস সহকারী পদে চাকরি নিয়ে দেবে। এ জন্য এক লাখ টাকা দিতে হবে। ওই টাকা গ্রহণের জন্য তার বিশ্বস্ত ব্যক্তি জরিনা বেগমকে পাঠিয়েছি। তার হাতে টাকা বুঝিয়ে দিলেই হবে। এরপর তিনি গত বছরের ২১ নভেম্বর জরিনার হাতে ৪০ হাজার টাকা দেন। এর এক মাস পর নগদের মাধ্যমে বাকি ৬০ হাজার টাকা পাঠান। সে সময় জরিমানা বেগম জানান তিন মাসের মধ্যে তার স্ত্রীর চাকরি হবে। এরপর তিন মাস পর ইউএনও অফিসে গিয়ে তার স্ত্রী জানতে পারে দিপ্তি রানী নামে কোন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানে নেই। পরে তারা বুঝতে পারে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এ বিষয় নিয়ে এলাকার লোকজন জানাজানি হলে জরিনার কাছে প্রতারণার শিকার হওয়া আরো সাতজন নারীর কথা বেরিয়ে আসে।  চাকরি এবং ঘর নির্মাণের কথা বলে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানতে পারেন। পরে তাদের সাথে নিয়েই তারা গাবতলী থানায় অভিযোগ দিতে আসেন।

গাবতলী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জামিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তার জরিনা বেগমের বিরুদ্ধে ইউএনও সেজে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্নজনকে চাকরি দেবার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ দেয় এক ভুক্তভোগীর স্বামী। আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর সোমবার বিকাল তিনটায় তাকে গ্রেপ্তার করি। অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/এলএ)