অস্ত্র পরিহার করুন, না হলে টিকতে পারবেন না: হানিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ মার্চ ২০২২, ২০:০৮

অস্ত্র দিয়ে জিম্মি করে যারা রাঙামাটির মানুষকে ঘুম হারাম করতে চান তাদেরকে অস্ত্র পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।

সোমবার রাঙামাটি শহরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি পাহাড়ে সংঘাতে লিপ্তদের প্রতি এই আহ্বান রেখে বলেছেন, অস্ত্র পরিহার করুন, না হলে টিকতে পারবেন না।

হানিফ বলেছন, ‘সন্ত্রাস দিয়ে পৃথিবীতে কেউ কোনো দিন শান্তি আনতে পারেনি। অস্ত্র দিয়ে কখনো শান্তি আসেনি। সন্ত্রাস এবং শান্তি একসাথে চলতে পারে না। যারা এখনো অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে রাঙামাটির মানুষকে জিম্মি করে ঘুম হারাম করতে চাচ্ছেন, তাদেরকে অনুরোধ করবো আপনারা অস্ত্র পরিহার করুন।’

‘রাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতে জড়াবেন না। কারণ রাষ্টের শক্তি অনেক বড় শক্তি। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে। আর না হয় অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হবে। তখন টিকতে পারবেন না।’

হানিফ বলেন, যারাই অস্ত্রবাজি করছেন, তারা কোন উদ্দেশ্যে করছেন, কী কারণে করেছেন, তাদের লক্ষ্যটা কী, শুধুই কি চাঁদাবাজি? যারা অস্ত্র নিয়ে মানুষ খুন করে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন, তাদের পরিবারকেও নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।

সরকার সুযোগ দিয়েছে সেটাকে কাজে লাগানোর আহ্বান রেখে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে কেউ কোনো দিন টিকে থাকতে পারে না। এখানে কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে টিকতে পারবে না। তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’

১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর পাহাড়ি এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর শান্তিচুক্তি করেন। সেবিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে হানিফ বলেন, ‘তখনও বিরোধিতা হয়েছে। শান্তি চুক্তি হওয়ার আগে বেগম খালেদা জিয়া প্রকাশ্যে বললেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারতের অংশ হয়ে যাবে। তারা মিথ্যাচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু শান্তিচুক্তির ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুকন্যা অনড় ছিলেন। তিনি জানতেন সন্ত্রাসী বাহিনীকে শান্তির পথে না নিয়ে এলে পাহাড়ে স্থিতিশীলতা আসবে না।’

এসময় রাঙ্গামাটি জেলার নেতা-কর্মীদের আশ্বস্ত করে হানিফ বলেন, ‘এই এলাকার সন্ত্রাসের বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানাবো, যাতে করে সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেয়া হয়।’

পর্যটনে রাঙামাটির সম্ভাবনার কথা ‍তুলে ধরে হানিফ বলেন, ‘রাঙামাটি কক্সবাজারের পরে দেশের দ্বিতীয় পর্যটন কেন্দ্র হতে পারতো। কিন্তু তা হলো না। আমাদের শুনতে হয়, এখানকার মানুষ দরিদ্রসীমার নিচে বাস করছে।’

‘আমার খারাপ লাগছে, আমাদের উন্নয়নের ছোঁয়া রাঙামাটির মানুষের কাছে অধরা মনে হচ্ছে। এখানে সব উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে একটাই কারণ অস্থিতিশীলতা। পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের কারণে উন্নয়ন বাধাগস্থ হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপির সভাপতিত্বে তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুর সবুর, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর।

(ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

বাংলাদেশে একদিন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবেই, তখন আ. লীগ থাকবে না: আমিনুল হক

উপজেলা নির্বাচন ঘিরে তৃণমূল আ.লীগে বাড়ছে দ্বন্দ্ব

সরকারের এমপিরা ঘোষণা দিয়ে লুটপাট শুরু করেছে: এবি পার্টি

বদরের চেতনায় লড়াই অব্যাহত রাখার আহ্বান ছাত্রশিবির সভাপতির

আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের

বিএনপির ভারত বিরোধিতা মানুষের কষ্ট বাড়ানোর নতুন সংস্করণ: নাছিম

ভোট ডাকাত সরকারকে সমর্থনকারী দেশের পণ্য বর্জন ন্যায়সঙ্গত: রিজভী

১১ মামলায় আগাম জামিন পেলেন বিএনপি নেতা বকুল

বর্তমান সরকার ভারতের অনুগ্রহে ক্ষমতায় বসে আছে: সাকি

জিয়াউর রহমান উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে: ওবায়দুল কাদের

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :