তিন খুন: তিনজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ১০ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০২২, ২০:৩৬

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার আলোচিত অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, ট্রিপল মার্ডারসহ লাশ গুমের দায়ে তিনজনের আমৃত্যু, সাতজনের যাবজ্জীবন এবং পাঁচজনের ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আতিরিক্ত আদালত-১ এর বিচারক তাজুল ইসলামের আদালতে ১০ জন আসামির উপস্থিতিতে পাঁচজনের অনুপস্থিতিতে এই রায় দেন।

আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার শালিমপুর গ্রামের ওয়াসিম রেজা (পলাতক), সোহেল রানা এবং হরিনাকুন্ডু উপজেলার কাটদাহ গ্রামের মানিক জোয়ার্দার (পলাতক)।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পিচ্ছি মনির (পলাতক), মোটা জসিম (পলাতক), উল্লাস খন্দকার, তৈমুল ইসলাম বিপুল, ফারুক চেয়ারম্যান, আব্দুল মান্নান মোল্লা (পলাতক) এবং বিপুল চৌধুরী।

এছাড়া ১০ বছর সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মনির, সোহেল, জসিম, উল্লাস এবং মানিক।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিকালে দৌলতপুর উপজেলার শালিমপুর গ্রামের কবরস্থান সংলগ্ন হিসনা নদীর পাড়স্থ আসামি ফারুক চেয়ারম্যানের জমিতে পুতে রাখা তিনজনের গলিত লাশ উদ্ধার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ। পরে শনাক্ত মতে নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মজমপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে মেহেদী হাসান সোহাগ, ঝিনাইদহের ২৯ কাঠা গোলাম মস্তফা সড়কের বাসিন্দা রেজাউল ইসলামের ছেলে রাসেল সরকার এবং যশোর শার্শা উপজেলার বাঘআঁচড়া গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক হোসেনের ছেলে মুকুল হোসেন।

এ ঘটনায় নিহত মুকুল হোসেনের বড় ভাই ইলিয়াস কবির বকুল ২ ডিসেম্বর দৌলতপুর থানায় অপহরণ করে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুতে রেখে গুম করার অভিযোগে ১৬ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১১ সালে ৩১ মার্চ এই হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।

আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী জানান, দেরিতে হলেও অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন আসামিকে আমৃত্যু, সাতজনের যাবজ্জীবন এবং পাঁচজনের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন পরিমাণ অর্থ দণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।

(ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/এলএ)