ব্যাংক লকার থেকে সোনা গায়েব, তদন্ত কমিটি

প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০২২, ২২:৫৪

ময়মনসিংহ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পূবালী ব্যাংক শাখার লকার থেকে ১৫ ভরি সোনা গায়েবের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগীর স্বামী বাকৃবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত পরিচালক শফি উল্লাহ সোমবার বিকালে এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে থানায় অভিযোগ করেছেন।

অন্যদিকে সোনার মালিক ফারহানা ইয়াসমিন রবিবার ক্ষতিপূরণ চেয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছেন। এ ঘটনা তদন্তে আঞ্চলিক শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার নজরুল ইসলাম ফরাজীকে আহ্বায়ক এবং একই ব্রাঞ্চের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (আইন) মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্রিন্সিপাল অফিসার সাফায়েত উল্লাহকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আগামী পাঁচ কর্মদিবসে প্রতিবেদন দেবেন বলে জানিয়েছেন বাকৃবি শাখা ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান।

সোমবার দুপুরে তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় বাকৃবির প্রক্টর প্রফেসর ড. মহিউদ্দিন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান বলেন, লকার মালিক তিন বছর আগে  লকারটি ভাড়া নিয়েছেন।  তিনি আর  লকার খুলতে আসেননি। নিয়ম অনুযায়ী লকারের চাবি মালিকের হাতে থাকে। এখান থেকে সোনা গায়েব হওয়ার কোন সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর স্বামী শফি উল্লাহ বলেন, শাখা ব্যবস্থাপক নিজে এবং তার স্টাফদের রক্ষা করার জন্য এসব কথা বলছেন।

তিনি জানান, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল আমার স্ত্রী ফারহানা ইয়াসমিন পূবালী ব্যাংকের ৬৪ নং লকারে ১৫ ভরি সোনা সংরক্ষণ করে। এরপর আর লকার খুলেনি। রবিবার (২০ মার্চ ) দুপুর দেড়টায় ব্যাংকের লকার খুলে দেখে সোনা নেই। তখন বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা বিষয়টি অবহিত নয় বলে জানান।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার নজরুল ইসলাম ফরাজী বলেন, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/এলএ)