ঢাকা সিভিল সার্জন অফিসে দুদক, ঘুষগ্রহিতাকে তাৎক্ষণিক বদলি

প্রকাশ | ২২ মার্চ ২০২২, ১০:৪৯ | আপডেট: ২২ মার্চ ২০২২, ১৬:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য ঢাকার সিভিল সার্জন অফিসের কর্মচারীরা ঘুষ নেন- এরকম একটি  অভিযোগ আসে দুদকের হটলাইনে। সেবাপ্রত্যাশীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট অভিযান চালিয়ে এক কর্মচারীকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়।

দুদুক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট সিভিল সার্জন অফিসের কিছু কর্মচারী সেবা প্রত্যাশীদের তাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে এক কর্মচারীকে বদলি করা হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এর উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত টিমের সদস্যরা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
 
অভিযানকালে তারা ঢাকা সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো: মঈনুল আহসানকে বিষয়টি অবহিত করেন। এসময় সিভিল সার্জন বলেন, ‘সেবা গ্রহীতারা ব্যাংকে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে তার অফিসে চালানের কপি জমা দেন। এর বাইরে কেউ কোনো অনৈতিক সুবিধা দাবি করলে তা সিভিল সার্জনকে জানাতে হবে। তাহলে  সঙ্গে সঙ্গে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তাছাড়া ওই অফিসে দীর্ঘদিন যাবত কর্মরতদের সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বদলি করা হয় বলে দুদক টিমকে জানান সিভিল সার্জন। 

অভিযানকালে দুদক কর্মকর্তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে সিভিল সার্জনকে অনুরোধ করেন। 
আনীত অভিযোগের মনিটরিংসহ আরও কিছু তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

এদিকে দুদক সূত্র জানায়, বনবিভাগ, চুনতি রেঞ্জ, চকরিয়া, কক্সবাজারে বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বনবিভাগের গাছ কেটে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে দুদক, সজেকা, কক্সবাজারের উপসহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। 

(ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/এফএ)