কবি কামাল চৌধুরী নিজ গুণেই এগিয়ে যাবেন: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ | ২২ মার্চ ২০২২, ১৭:৪০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, কবি কামাল চৌধুরী সমকালীন বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি। সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিবাদী, দ্রোহী ও তারুণ্যদীপ্ত কবিতা নিয়ে বাংলা কাব্যজগতে তার আবির্ভাব ঘটে। পেশাগত জীবনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ জনপ্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। কবি কামাল চৌধুরী তার নিজ গুণেই এগিয়ে যাবেন।

প্রতিমন্ত্রী আজ দুপুরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিজয়করা স্কুল এণ্ড কলেজ মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব ও বরেণ্য কবি কামাল চৌধুরীর গৌরবজনক রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদক ২০২২ -এ ভূষিত হওয়া উপলক্ষ্যে চৌদ্দগ্রাম উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদ আয়োজিত সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী কাব্যচর্চার শুরু থেকেই তার কবিতার একটি কেন্দ্রীয় স্থান জুড়ে আছে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিসংগ্রাম, জাতির পিতা, মানুষ আর প্রকৃতি। বাংলা কবিতায় আজ তিনি স্বতন্ত্র ও বিশিষ্ট এক কণ্ঠস্বর। এছাড়াও একজন নৃতাত্ত্বিক ও সমাজবিজ্ঞানী হিসাবে সমৃদ্ধ গবেষণাকর্ম রয়েছে। পেশাগত জীবনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ জনপ্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ড পরবর্তী দুঃসময়ে কামাল চৌধুরীর সাহসী কবিতা প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে কবিতায় প্রথম প্রতিবাদীদের একজন তিনি। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে 'জয়ধ্বনি' পত্রিকায় বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে কামাল চৌধুরীর প্রথম কবিতা 'জাতীয়তাময় জন্মমৃত্যু' প্রকাশিত হয়। সেজন্য তিনি পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলা কবিতায় প্রতিবাদী ও সাহসী উচ্চারণের 'ভোরের পাখি' বলে আখ্যায়িত হন। কে এম খালিদ বলেন, কামাল চৌধুরীর কবিতা বাঙালির জীবনচর্চা ও সংগ্রামের বলিষ্ঠরূপ। একইসঙ্গে আঙ্গিক ও প্রকরণে পরিশ্রুত এবং নান্দনিক কবিতার উজ্জ্বল প্রকাশ। প্রতিমন্ত্রী এসময় বিজয়করা স্কুল এণ্ড কলেজকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সংগীত সরঞ্জাম প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সোবাহান ভুঁইয়া'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য  ও সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও অন্যান্য অতিথিরা।

(ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/এসকেএস)