মুক্তাগাছায় কমছে মহুয়া গাছ

মনোনেশ দাস , ময়মনসিংহ
 | প্রকাশিত : ২৪ মার্চ ২০২২, ১১:২৬

ময়মনসিংহে ১৬৫০ সালে রচনা হয় মহুয়া পালা । দীনেশচন্দ্র সেন মহুয়া পালাকে ২৪টি অধ্যায়ে বিভক্ত করেন। মৈনমনসিংহ গীতিকায় মহুয়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৩ ভাষায় মুদ্রিত হয়। এই মহুয়া গাছের নাম ধরেই মহুয়া পালা।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার লেখা ফুল, ফল ও গাছপালার মধ্যে মহুয়াকে বর্ণনায় এনেছেন । মহুলা, মধুকা, মোহা, মোভা, মহুভা নামেও পরিচিত দেশের বৃহত্তম বনাঞ্চল শালবন অঞ্চলে । বনের একাংশ মুক্তাগাছার রসুলপুর, কমলাপুর, বিজয়পুর, চন্ডিমন্ডপ এলাকায় এক সময় অগনিত মহুয়া গাছ ছিল। এখন খুব একটা দেখা মেলে না ।

লোক কথায় আছে, শাল বনে ভল্লুকের দল মহুয়া গাছের গন্ধে উন্মত্ত হতো। ক্ষীর বৃক্ষ মহুয়ার কাটা স্থানে সাদা দুধ নিঃসৃত হয়, কাণ্ড থেকে ছাল সংগ্রহ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা লালচে বাদামি রঙের আবির তৈরি করে পূজো আচারে ব্যবহার করেন।

বৈজ্ঞানিক নাম: মধুকা ল্যাংফোলিয়া ।

আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য মহুয়া গাছের বীজের তেল ঠান্ডা ব্যথা উপশমে, ছাল অর্শ রোগে, পাতা পুরনো ক্ষত, ঠান্ডাজনিত সমস্যাসহ বহু রোগে প্রয়োগের উল্লেখ করেছেন ।

বিগত দশক ধরে বন বিভাগ সামাজিক বনায়নে আকাশমনি, ইউক্যালিপটাসসহ বিদেশি প্রজাতির গাছ রোপনের ফলে ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে ময়মনসিংহের ঐতিহ্যের সাথে মিশে থাকা মহুয়া গাছের সংখ্যা।

মুক্তাগাছা হাজী কাশেম আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক মুজাহেদুল ইসলাম বিপুল বলেন, ছবির মহুয়া গাছটি অনাদরে দাঁড়িয়ে আছে মুক্তাগাছা আরকে হাই স্কুল খেলার মাঠ সংলগ্ন রাস্তার পাশে। গাছটির ফুল দেখতে অনেক সময় নিয়ে প্রতিবছর অপেক্ষা করি। নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিতির চেষ্টা করি।

(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/এলএ/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :