দুর্নীতিবাজদের কারণে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি: চরমোনাই পীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ মার্চ ২০২২, ২১:৫৬

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, দুর্নীতিবাজদের কারণে দেশের সব যায়গায় সিন্ডিকেটের শাসন চলছে। দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করা না গেলে মানুষের রক্তচোষা সিন্ডিকেট বন্ধ করা যাবে না।

রবিবার দুপুরে পুরানা পল্টনস্থ নোয়াখালী টাউয়ারের আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ফয়জুল করিম বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছরে দেশে দুর্নীতি বন্ধ হয়নি বরং বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুর্নীতিবাজরা সরকার ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থন দখল করে থাকায় দেশে সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

পীর চরমোনাই দেশের বিচারহীনতার উদাহরণ টেনে বলেন, যেই দেশের প্রধান বিচারপতি বিচার না পেয়ে দেশ থেকে পালায়ন করে সে দেশে আমরা ন্যায় বিচার আশা করি কিভাবে?

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর এই সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, যারা দেশের জন্য জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছে তারাও সিন্ডিকেট ও দুর্নীতিবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে স্বীকৃতি বঞ্চিত। অনেক ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের লোকরা দুর্নীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগে সদস্য পদ দিচ্ছে, অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা বানাচ্ছে।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই আরো বলেন, কথা ছিলো গরিব ধনী-মালিক-শ্রমিক, সরকারি দল, বিরোধী দলের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না। থাকবে না ধর্মীয় কোন ভেদাভেদ। কিন্তু স্বাধীনতার ৫১ বছরে ভেদাভেদ চরমে পর্যায়ে পৌঁছেছে। সাম্য, মানবাধিকার ও সুশাসন নেই।

তিনি বলেন, কিছু মানুষের কাছে সিংহভাগ অর্থ আর সিংহভাগ মানুষ নিরবে অর্ধাহার, অনাহারে নিরব দুর্ভিক্ষে না খেয়ে মারা যাচ্ছে। এমন অবস্থার জন্য জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেনি। একই দেশে বসাবাস করে সরকারী দলের লোকদের জন্য মর্যাদা আর বিরোধী দলের লোকদের জন্য লাঞ্ছনা এটা সাম্য নয়।

‘স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশ: সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও সুশাসন নিশ্চিতের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবিরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাও. ইউনুছ আহমেদ, সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সাবেক সচিব ড. মো. আক্তারুজ্জামান হামিদী, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সদস্য সচিব ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/এসআর/এলএ

সংবাদটি শেয়ার করুন

ইসলাম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :