রোজিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ইলিয়াস কাঞ্চন

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০২২, ১৬:০৮

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাংলা চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় জুটি ইলিয়াস কাঞ্চন ও রোজিনা। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিতে কাজ করেছেন দুই তারকা। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তারা ছিলেন একে-অন্যের প্রতিপক্ষ। দুজনেই যে যার পদে জয় পেয়েছেন। যদিও দুই প্যানেলের বৈরিতা এখনো কাটেনি। প্রতিপক্ষ প্যানেলের সেই রোজিনারই প্রশংসা শোনা গেল অভিনেতা-সমাজসেবক ইলিয়াস কাঞ্চনের মুখে।

চিত্রনায়িকা রোজিনা তার মায়ের নামে একটি মসজিদ বানিয়েছেন নিজ এলাকা রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের ৫নং ওয়ার্ডে। নাম দিয়েছেন ‘দশ গম্বুজ খাদিজা জামে মসজিদ’। তুরস্কের মডেলে দৃষ্টিনন্দন সেই মসজিদ বানাতে নায়িকা খরচ করেছেন দুই কোটি টাকা। শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে সেটির উদ্বোধন করেন রোজিনা। এ সময় সেখানে নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনও উপস্থিত ছিলেন।

রোজিনার এহেন কাজে ভিষণ খুশি ‘বেদের মেয়ে জোছনা’র এই নায়ক। তিনি বলেন, ‘রোজিনার এমন মহৎ কাজে আমি বিস্মিত। তিনি তার মায়ের নামে সুন্দর একটি মসজিদ করেছেন। মুসলমান হয়েই আমাদের মরতে হবে। আখিরাতের জন্য আমরা কী করে গেলাম, তা সবারই ভাবা দরকার। রোজিনা তার এলাকায় এত সুন্দর একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন, আসলেই এটা মহৎ কাজ।’

ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, ‘রোজিনা খুবই ভালো মনের একজন মেয়ে। আমরা একসঙ্গে অনেকগুলো সিনেমায় কাজ করেছি। তিনি গোয়ালন্দে যে দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি নির্মাণ করেছেন, তা এলাকাবাসীর জন্য অনেক খুশির খবর। আমি সব সময় আল্লাহর কাছে দোয়া করি, রোজিনার মতো সবাই যেন সামর্থ্য অনুযায়ী ইসলামের পথে সহযোগিতা করেন।’

গোয়ালন্দে যে জায়গার উপর রোজিনা মসজিদটি নির্মাণ করেছেন, সেটি তার মাকে দিয়েছিলেন নায়িকার নানা। পরে মায়ের সূত্রে জমিটির মালিক হন রোজিনা। শুক্রবার মসজিদ উদ্বোধনকালে এই অভিনেত্রী জানান, একই এলাকায় একটি চক্ষু হাসপাতাল করার পরিকল্পনাও আছে তার। সবার সহযোগিতা পেলে সেটির কাজ খুব শিগগিরই শুরু করবেন।

গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিজ প্যানেল থেকে সভাপতি নির্বাচিত হন ইলিয়াস কাঞ্চন। মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য হয়েছিলেন রোজিনা। যদিও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নির্বাচনের কয়েকদিন পরই তিনি পদত্যাগ করেন। শিল্পী সমিতির ওই নির্বাচনের পর এই প্রথম একসঙ্গে কোনো কাজে গিয়েছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও রোজিনা।

ঢাকাটাইমস/২ এপ্রিল/এএইচ