রামপালে প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে একজন নিহত
বাগেরহাটের রামপালে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে মো. ওমর ফকির (৪২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এসময় তাদের থামাতে এসে নিহতের বড় ভাই মো. মিজান ফকিরও (৪৮) গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওমরের মৃত্যু হয়।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের উজলকুড় গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের ময়নাতদন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। তবে হত্যার ঘটনায় জড়িত কাউকে পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
নিহত ওমর ফকির উজলকুড় গ্রামের আমির আলী ফকিরের ছেলে।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মিডিয়া সেলের দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক এসএম আশরাফুল আলম বৃহস্পতিবার সকালে এই প্রতিবেদককে বলেন, রামপাল উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের উজলকুড় গ্রামের ওমর ফকির ও আলী শেখ একে অন্যের প্রতিবেশী।
দুপুরে ওমর ফকিরের কয়েকটি হাঁস তার প্রতিবেশী আলী শেখের রোপণ করা ধানের ক্ষেতে ঢুকে ধান খায়। সন্ধ্যায় আলী শেখ ক্ষুব্দ হয়ে ওমর ফকিরের বাড়ির সামনের রাস্তায় যেয়ে হাঁসে কেন তার জমির ধান খেয়েছে তা জানতে চেয়ে চিৎকার করতে থাকেন।
আলী শেখের চিৎকার শুনে ওমর ঘর থেকে বেরিয়ে এলে দুজনের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে আলী শেখ ক্ষুব্দ হয়ে নিজের বাড়িতে গিয়ে ধারালো দা নিয়ে এসে ওমর ফকিরকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন। এসময় ওমরের বড় ভাই মিজান ছুটে এসে ভাইকে বাঁচাতে গেলে আলী শেখ তাকেও ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যান।
পরে অন্য প্রতিবেশীরা এসে রক্তাক্ত অবস্থায় দুই ভাইকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওমর ফকিরের মৃত্যু হয়। নিহতের ভাই চিকিৎসাধীন আছেন।
পুলিশ পরিদর্শক আশরাফুল জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলাকারী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৭এপ্রিল/কেএম)