অভিনেত্রী শিমু হত্যা মামলার তদন্ত কতদূর? কেন খুন হন শিমু?
দুদিন নিখোঁজ থাকার পর বস্তাবন্দি লাশ মিলেছিল অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি শিমুর বড় ভাই কেরানীগঞ্জ থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ বলছে, অভিনেত্রী শিমু পারিবারিক কলহের জেরে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার। সিআইডির ফরেনসিক প্রতিবেদন পাওয়া গেলে শিগিগির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে আদালতে।
শিমু হত্যার বিচারকাজ চলছে ঢাকার জেষ্ঠ্য জুডিশিয়াল হাকিম ফারহানা ইয়াসমিনের আদালতে। গত মঙ্গলবার মামলাটির প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু সিআইডির ফরেনসিক প্রতিবেদন না পাওয়ায় মামলার প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৯ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
কেরানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘মামলাটির বেশ কিছু আলামত ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সিআইডিতে পাঠিয়েছি। কিন্তু এখনও রিপোর্ট না আসায় মামলাটির প্রতিবেদন তৈরি করতে পারিনি। মামলাটি ঊর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তরা তদারকি করছেন।’
গত ১৬ জানুয়ারি সকালে নিখোঁজ হন রাইমা ইসলাম শিমু। স্ত্রী নিখোঁজের ঘটনায় ওই দিন রাতেই ডিএমপির কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শিমুর স্বামী নোবেল।
জিডিতে নোবেল দাবি করেন, ১৬ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায় শিমু। তারপর থেকে জিডি করার সময় পর্যন্ত বাসায় ফেরেনি। তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
পরদিন ১৭ জানুয়ারি দুপুরের দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার হজরতপুরের আলীপুর ব্রিজ থেকে ৩০০ গত উত্তর পাশে পাকা রাস্তা সংলগ্ন ঝোঁপের ভিতর থেকে বস্তাবন্দি অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে লাশটি অভিনেত্রী শিমুর বলে শনাক্ত হয়। লাশ উদ্ধারের পর শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শিমু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শিমুর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার বন্ধু আব্দুল্লাহ ফরহাদকে আটক করে পুলিশ। এই দুজন দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তারা কারাগারে।
কী কারণে শিমুকে এমন করুণ মৃত্যুর শিকার হতে হলো প্রশ্নের জবাবে পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরেই তিনি হত্যার শিকার হন। এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। মামলাটি তদন্তাধীন থাকায় এর বেশি কিছু বলার সুযোগ নেই।’
(ঢাকাটাইমস/০৬এপ্রিল/এএ/ডিএম)