আগরতলায় অন্যপ্রকাশের যাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২২, ১৩:০৭ | প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল ২০২২, ১৯:৪৬

বাংলা বইকে ভিনদেশী পাঠকের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে এবার ভারতের আগরতলায় বিপণন কেন্দ্র খুলল দেশের সনামধন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অন্যপ্রকাশ। আগরতলায় বাংলাদেশের কোনো প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বিপণন কেন্দ্র এটিই প্রথম। গত ৭ এপ্রিল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় চালু হয়েছে এই বই বিপণন কেন্দ্র।

আগরতলার প্রকাশনা ও বই বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ‘নীহারিকা’র সঙ্গে যৌথ এই যাত্রার শুভ উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভাশিস তলাপাত্র ও আগরতলাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় তরুণ লেখক সাদাত হোসাইন, অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম ও নীহারিকার কর্ণধার তীর্থংকর দাস।

স্থানীয় প্রেসক্লাবে ‘আগরতলায় অন্যপ্রকাশের প্রবর্তনা’ শিরোনামের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শুভাশিস তলাপাত্র বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। বাংলাদেশের সঙ্গে আগরতলার মানুষের যে সম্পর্ক, তা কেবল প্রতিবেশীরই নয় বরং অনেক বেশি আত্মার। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলা ভাষা ও দুদেশের মানুষের সম্পর্ক এর সঙ্গে যুক্ত। ফলে বিলম্বে হলেও অন্যপ্রকাশের আগরতলায় যে যাত্রা, তা নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।’

সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মাদও একই ভাষায় এই নতুন যাত্রাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে অকৃত্রিম বন্ধু আগরতলা ও এখানকার মানুষ। ফলে অন্যপ্রকাশের হাত ধরে যে যাত্রার সূচনা হলো তা যেন আরও বেগবান হয়। কেবল বাংলাদেশের বইই আগরতলায় নয়, এই যাত্রায় যেন আগরতলার লেখক, শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় ঘটে বাংলাদেশের মানুষের।’

কথাসাহিত্যিক সাদাত হোসাইন প্রথমবারের মতো আগরতলা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে সেখানকার পাঠকদের প্রতি তার মুগ্ধতা ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি অন্যপ্রকাশের এই যাত্রাকে এক অন্তহীন যাত্রার সূচনা বলে উল্লেখ করেন।

মুক্তিযুদ্ধে আগরতলার মানুষের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে অন্যপ্রকাশ প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এই যাত্রা বিলম্বে হলেও অনিবার্যই ছিল। ভাবনা ও অনুভবে এই দুই বাংলার মানুষ এতটাই একাত্ম যে তাদের আলাদা রাখা কঠিন। আর এই যাত্রা সেই অনুভবকে আরও অন্তরঙ্গ করে তুলবে বলেই আমার বিশ্বাস।’

উল্লেখ্য, আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই প্রবর্তনা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট মানুষেরা। সেখানকার বইপ্রেমীরা এ উদ্যোগে আনন্দ প্রকাশ করেন। তারা ত্রিপুরা তথা আগরতলার মাটিতে অন্যপ্রকাশকে স্বাগত জানান।

(ঢাকাটাইমস/৯এপ্রিল/এসকেএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :