ঋণ থেকে বাঁচতে উত্তরায় শামসুদ্দীনকে হত্যা: পুলিশ
রাজধানীর উত্তরায় শামসুদ্দীন হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিএমপি ডিবি)। ঋণের টাকা শোধ করার জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর এই হত্যার মূল হোতা তানভীর ভারতে পালিয়ে গেছেন।
সোমবার দুপুরে ডিএমডির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- মুসলিম ও আবু শাফি। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে একটি শার্টার গান, চারটি গুলি, লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ চার হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ আক্তার বলেন, গত ১৫ মার্চ উত্তরা পশ্চিম থানার ১৩ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর সড়কের ৮০ নম্বর বাড়ির বি-৫ নম্বর ফ্ল্যাটে তানভীরসহ আরও দুজন এসে শামসুদ্দীনকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরা বিভাগ।
ডিএমপির উত্তরা জোনাল টিম রবিবার গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ এবং ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুসলিম এবং আবু শাফি নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। জোনাল টিমের লিডার অতিরিক্ত উপকমিশনার বদরুজ্জামান জিল্লুর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ আক্তার বলেন, এই হত্যার মূল হোতা তানভীর আহমেদ। তিনি নিহত শামসুদ্দীনের স্ত্রী রাশিদা বেগমের ভাইয়ের ছেলে। ঘটনার দিন রাশিদা বেগম তার নাতিকে স্কুল থেকে আনতে গেলে তানভীর তার দুই বন্ধুসহ তাদের বাসায় আসেন। পরে তারা শামসুদ্দীনকে খাটের উপরে গলা কেটে হত্যা করে বাসা থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তার আসামিদের বরাত দিয়ে হাফিজ আক্তার বলেন, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে মূল হোতা তানভীর ভারতে গেছে। আর মুসলিম ও আবু শাফি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের ভাষ্যমতে, তানভীর একজন বেকার, নেশাগ্রস্থ ও ঋণগ্রস্থ ছিলেন। তানভীর ঋণের থেকে বাঁচার জন্য তার বন্ধুদের নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
(ঢাকাটাইমস/১১এপ্রিল/এএ/কেএম)