ফেনীতে পুলিশ কনস্টেবল নিহতের ঘটনায় সেই কাভার্ডভ্যান চালক গ্রেপ্তার

ফেনী শহরের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামপুর রাস্তার মাথা কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় পুলিশ কনস্টেবল নিহতের ঘটনার ১৮ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক কাভার্ডভ্যান চালক জাফর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৭)। বুধবার দুপুরে ফেনী র‌্যাব ক্যাম্পে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর কাভার্ডভ্যানের হেলপার জয় (১৪) আহত হলে তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর পালিয়ে যায় জাফর। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেনবাগ উপজেলার দক্ষিণ রাজারামপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাফর ওই এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে।

লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ জানান, ২০১৪ সাল থেকে ৮ বছর যাবৎ লাইসেন্স ছাড়াই জাফর কাভার্ডভ্যান চালিয়ে আসছে। ২০১৯ সালে হালকা গাড়ি চালনায় লাইসেন্সের জন্য দালালের মাধ্যমে আবেদন করলে তাকে একটি লার্নার লাইসেন্স দেয়া হয়। গ্রেপ্তারের পর জাফরকে ডোপ টেস্ট করা হলে পজেটিভ পাওয়া যায়। তার প্রাথমিক স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গাড়ি চালানোর সময় সে মাদকাসক্ত ছিল। এমনকি কাভার্ডভ্যান থেকে দুই পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার চালানো কাভার্ডভ্যানটি ঢাকার মেসার্স তারেক ট্রান্সপোর্ট এন্ড ট্রেডিং এজেন্সির মালিকানাধীন ছিল। অদক্ষ ও মাদকাসক্ত ব্যক্তির হাতে কাভার্ডভ্যান চালানোর দায়িত্ব দেয়ায় ট্রান্সপোর্ট কোম্পানীর বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।

সোমবার রাত আড়াইটার দিকে মহাসড়কে যানজট নিরসন ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত চলন্ত পুলিশ পিকআপ (নং- ঢাকা মেট্টো ঠ ১৪-৩৫৬২) কে পেছন থেকে একটি কাভার্ডভ্যান সজোরে ধাক্কা দেয়। পুলিশ পিকআপ ভ্যানের পেছনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ভ্যানে থাকা কনস্টেবল মোতাহের হোসেন ও আসাদুল ইসলামকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোতাহেরকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বিকাল সাড়ে ৩টায় গ্রামের বাড়ি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কোমারডোগা বাজার এলাকায় মোতাহেরের নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/এআর)