বিএনপির কষ্ট বাংলাদেশ কেন শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের মতো হচ্ছে না: খালিদ মাহমুদ

বাংলাদেশ কেন শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের মতো হচ্ছেনা- এটাই বিএনপির কষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরি।

বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা ঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার বেইজের উদ্বোধনকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী  বলেন, বিএনপি নেতাদের চিন্তা বাংলার মানুষ মঙ্গাপীড়িত থাকবে, অশিক্ষিত থাকবে, চিকিৎসাসেবা পাবে না, বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এগুলো করতে করতে তারা বাংলার মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা বাংলার মানুষকে বিপদে ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে। এসব ষড়যন্ত্র থেকে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে  ইমাজিং টাইগারে পরিণত হয়েছে। বিএনপি বাংলার মানুষকে হৃদয়ে ধারণ করে না। তারা বাংলার মানুষকে শোষণ করার জন্য রাজনীতি করে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের বিস্ময়। বিশ্ববাসী উন্নয়ন কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর নৌপথ খননের জন্য ৭টি ড্রেজার এনেছিলেন। এরপর দীর্ঘ সময় সরকারি ড্রেজার আসেনি। ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশে ৭টি ড্রেজার থাকলেও পরবর্তী ১৩ বছরে আমরা ৮০টি ড্রেজারে উন্নীত করেছি। গত ৪০ বছরে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার শাসন আমলে। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কোন উন্নয়ন করেনি, উন্নয়নের বিষয়টি উপলবব্ধি করেনি। বঙ্গবন্ধুর রক্তের যোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছেন।

বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী, শিবালয় উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান খান জানু ও  উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কুদ্দুস।

আরিচায় ড্রেজার বেইজ হওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ পথের নাব্যতা উন্নয়ন ও সংরক্ষনসহ ক্রমবর্ধমান ড্রেজিং চাহিদা মেটানোর জন্য ড্রেজার বহরের ড্রেজিং ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আরিচায় ড্রেজার বেইজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ ড্রেজার বেইজটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। এতে তিন তলা অফিস ভবন, দোতলা স্টাফ ডরমেটরি, একটি ওয়ার্কশপ রয়েছে।

দ্রুত ও স্বল্প সময়ে বিআইডব্লিউটিএ'র ড্রেজারসমূহ মেরামত, সংরক্ষণ ও অপারেশনে সহায়তার লক্ষ্যে সরকার দেশে পাঁচটি 'ড্রেজার বেইজ' স্থাপন করছে। আরিচায় ড্রেজার বেইজটি আরিচা এলাকাসহ রাজবাড়ী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এলাকায় নৌপথ খননে  তদারকি সহজতর হবে। আরিচায় ফেরি, লঞ্চঘাটসহ অন্যান্য ঘাটগুলোর ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারি আরিচায় অবস্থান করে

(ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/এআর)