মল্লিকা লিলি বেগুন চাষে কৃষকের মুখে হাসি
মল্লিকা লিলি বেগুন চাষে কৃষক আশরাফুলের মুখে হাসি। কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের আদর্শপাড়া গ্রামের কৃষক মো. আশরাফুল আলম। তিনি ছোট বেলা থেকেই বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করে সংসার চালাতেন। তিনি অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কয়েক বছর ধরে বেগুন চাষ করছেন।
বেগুনের ফলন বেশি ও চাহিদা থাকায় আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তিনি এক বিঘা জমিতে নতুন জাতের মল্লিকা লিলি ও বারি-১২ জাতের বেগুন চাষ করছেন। বিষমুক্ত বেগুন চাষ করে বাজারে বিক্রি করছেন ভালো দামে।
এ রমজানে পুরোদমে বেগুন বিক্রি করতে পেরে অনেক খুশি। পরীক্ষামুলকভাবে মল্লিকা লিলি ও বারি-১২ জাতের বেগুন চাষ করে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় আগামীতে আরও বড় আকারে মল্লিকা লিলি বেগুন চাষ করার ইচ্ছাপোষন করেন।
এ বেগুন চাষে গাছে আলাদা করে খুটা দিতে হয়না এবং গাছে কোন কাটা নেই। সামান্য পরিচর্যা করেই এ বেগুন চাষ করা যায়। আশরাফুল ইসলামের আলতা রঙ্গের মল্লিকা লিলি বেগুন দেখে এলাকার সবারই মন জুড়িয়ে যায়।
কৃষক আশরাফুল ইসলাম জানান, তিনি মাত্র এক বিঘা জমিতে মল্লিকা লিলি ও বারি জাতের বেগুন চাষ করেছেন পরীক্ষামূলভাবে। অল্প পরিশ্রম করেই ফলন বেশি পাচ্ছেন এবং বেগুনের কালার বেশ ভালো হওয়ায় মানুষ আগ্রহ করে বেগুন কিনছেন তার কাছ থেকে। ফলে অন্য জাতের বেগুনের তুলনায় দাম পাচ্ছেন বেশি। পোকামাকড়ের আক্রমণও অনেক কম। তিনি বেগুন চাষে জমিতে জৈব সার ব্যবহার করেন। বিষমুক্ত সবজি চাষ করাই তার মূল উদ্দেশ্য। ভৈরবের বিভিন্ন সবজি বাজারে প্রতিদিনই প্রায় দুই হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেন বলে জানান।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা কৃষি অফিসার আকলিমা বেগম বলেন, করোনা মহামারির পরেও আমরা খাদ্য ও পুষ্টির অভাব পূরণে কাজ করছি। সরকারিভাবে আমরা অনেক রকমের প্রণোদনার জোগান দিচ্ছি। চাষিদের সার, বীজ, চারাসহ আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার। কিভাবে বিষমুক্ত সবজি চাষ করা যায় সে বিষয়ে কৃষি অফিস চাষিদেরকে পরার্মশ দিচ্ছে। আধুনিক জাতের বেগুন চাষ করে অল্প জমিতে বেশি ফলন পাচ্ছে কৃষক। ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ আদর্শপাড়া গ্রামের কৃষক আধুনিক জাতের বেগুন চাষ করে ভালো দাম পাচ্ছেন। বেগুনের চাহিদা বেশি হওয়ায় ভৈরবেও দিনদিন বেগুন চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
(ঢাকাটাইমস/১৪এপ্রিল/এসএ)