লালমনিরহাটে পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, এসআই ক্লোজড

প্রকাশ | ১৫ এপ্রিল ২০২২, ১৭:০৬ | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২২, ১৭:১১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

লালমনিরহাটে পুলিশ হেফাজতে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় সদর থানার এসআই হালিমকে ক্লোজড করা হযেছে। মৃত রবিউল ইসলাম খান (২৫) আট মাসের এক শিশু সন্তানের জনক।

যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে জনতা। শুক্রবার সকালের দিকে ফের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।

সদর থানার ওসি শাহ আলম জানান, পুলিশ হেফাজতে রবিউল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা তৈরি করেছে। এ ঘটনায় এসআই হালিমের নাম আসায় আপাতত তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, নববর্ষ উপলক্ষে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বাংলা বাজার এলাকায় বৈশাখী মেলায় জুয়ার আসর বসলে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন রবিউল ইসলাম খান। পুলিশ ওই পথচারী রবিউল ইসলামসহ দুজনকে আটক করে। রবিউল জুয়া খেলেননি বলে জানালেও পুলিশ তা শোনেনি। এ সময় কথা কাটাকাটি হলে পুলিশ তাকে মারধর করে ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়।

পুলিশ বলছে, রবিউল পথে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে দ্রুত দায়িত্বরত চিকিৎসকরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন তাকে। কিন্তু রংপুর পাঠানোর প্রস্তুতিকালেই সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তিনি মারা যান।

মৃত রবিউল ইসলাম খান সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কাজিচওড়া গ্রামের দুলাল খানের ছেলে।

রবিউলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মহেন্দ্রনগর বাজারে লালমনিরহাট-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসী। তারা অভিযুক্ত সদর থানার এসআই হালিমের শাস্তি দাবি করেন। পুলিশ সেখানে পৌঁছলে অবরোধকারীরা পুলিশভ্যানে হামলা ও ভাঙচুর করেন।

অবরোধকারীদের একজন বলেন, ‘রবিউল কোনো অন্যায় করেনি। কেন তাকে বিনাদোষে থানায় নিয়ে গেল? থানা থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়নি। তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। রবিউল একটা নিরীহ ছেলে। তার একটা আট মাসের সন্তান আছে। এখন তার পরিবারের দায়িত্ব কে নেবে? আমরা রবিউল হত্যার সঠিক বিচার চাই। পুলিশ কর্মকর্তা হালিমের ফাঁসি চাই।’

(ঢাকাটাইমস/১৫এপ্রিল/এমএইচ/কেএম)