কিশোরগঞ্জে খরায় পুড়ছে ফসল, উৎপাদন কমার শঙ্কা

প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০২২, ১৬:৫৯

আমিনুল হক সাদী, কিশোরগঞ্জ

তীব্র খরায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দের ভাস্করখিলা বিলের ২৮ জাতের ফসলের ক্ষেতত পুড়ে যাচ্ছে। খরা কেড়ে নিয়েছে কৃষকের মুখের হাসি। খরার কারণে ফসল উৎপাদন কমার আশঙ্কা করছেন। এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক।

খরায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে মুগ, মরিচসহ উঠতি রবি ফসল। খরার কারণে আউশের আবাদ শুরু করতে না পারায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

স্থানীয়রা বলেন, ফসল উৎপাদনের সঙ্গে রোদ, বৃষ্টি, তাপমাত্রা, জোয়ার-ভাটার পানির স্তর জড়িত। কিন্তু আবহাওয়ার তারতম্য ঘটায় এর প্রভাব পড়বে ফসল উৎপাদনের ওপর। আউশ আবাদের মৌসুম শুরু হয়ে গেছে, অথচ বৃষ্টি হচ্ছে না। যত দেরি হবে, ততই ফসল উৎপাদন কম হবে।

সদর উপজেলার ভাষ্করখিলা বিলের ধান চাষি ফাইজুল, রাসেল, জালাল, কালাম  জানান, তারা ভাষ্করখিলা বিলে কয়েক একর জমিতে ২৮ জাতের ধান চাষ করেছেন। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে শুকিয়ে ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই নষ্ট ধানেই কেটে নিচ্ছি।

কৃষক খালেক জানান, খরায় তার ক্ষেতের পাশের খাল শুকিয়ে যায়। আর খালে ফার্মের বিষ্টাসহ পানি আবদ্ধ থাকলে সেখান থেকে পানি তুলে জমিতে প্রয়োগ করায় ধানের চারা গাছে রোগাক্রান্ত হয়ে চিঠা হয়েছে।

কৃষকরা জানান, পানির অভাবে এখনো আউশের বীজতলা করতে পারেননি। কীভাবে আউশের আবাদ করবেন- তা নিয়ে তিনি চিন্তিত।

কৃষিবিদরা জানান, বৃষ্টি নেই। তীব্র খরা, তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এই খরায় উঠতি রবি ফসলের উৎপাদন কম হবে বলে মনে করছেন তারা। ফসল রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/এলএ)