হবিগঞ্জে উজানের ঢলে ডুবছে কৃষকের স্বপ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, হবিগঞ্জ
| আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২২, ২১:৪২ | প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল ২০২২, ১৯:৫৯

দুদিন স্থিতিশীল থাকার পর হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় ফের বাড়ছে মেঘনার শাখা নদী ধলেশ্বরীর পানি। উজানের ঢল বাড়তে থাকায় পানি হাওরে প্রবেশ করছে। উপজেলার বিভিন্ন হাওরে ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে ৯৩ হেক্টর জমির ধান। এতে ডুবছে কৃষকের স্বপ্ন।

এদিকে, একদিকে হাওরে পানি প্রবেশ করছে অন্যদিকে কৃষকেরা রয়েছেন তীব্র শ্রমিক সংকটে। শ্রমিক সংকট কাটাতে পারছেন জমির ফসল।

তলিয়ে যাওয়া থেকে বাচাতে ইতোমধ্যে কাঁচা ও আধাপাকা মিলিয়ে জেলায় মাত্র ২৪ শতাংশ ধান কাটতে পেরেছেন কৃষকরা। এখনো ৭৬ শতাংশ ধান জমিতেই আছে। আবার পানি বাড়তে থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় ১ লাখ ২২ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে লাখাইয়ে হয়েছে ১১ হাজার ১২০ হেক্টর জমির আবাদ। শুধু লাখাই সদর ইউনিয়নে হয়েছে ৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমি আবাদ। কিছু কিছু জমিতে প্রায় ৬০ শতাংশ ধান পেকেছে। তবে বেশিরভাগ জমির ধান অর্ধেকও পাকেনি।

লাখাই কৃষি অফিসের উপ-সহকারী অমিত ভট্টাচার্য জানান, লাখাই সদর ইউনিয়নের শিবপুর, সুজনপুর, বারচর, মাদনা, সন্তোষপুর, কামালপুর, রবিরকোণা, নোয়াগাঁও, ভবানিপুর, ভরপূর্ণী, এলাকান্দি, চন্দ্রপুর, হাওরের ৯৩ হেক্টর বোরো জমি পুরোপুরি তলিয়ে গেছে। আংশিক তলিয়ে গেছে আরো ২’শ হেক্টর জমির ধান। এরই মধ্যে উপজেলায় ৩৫ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে।

ভারতের আসাম, চেরাপুঞ্জি ও মেঘালয়ে বৃষ্টিপাতের কারণে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ধলেশ্বরী ও কালনী নদীতে পানি বেড়েছে। এতে লাখাই উপজেলার হাওরে পানি প্রবেশ করে বোরো ধান তলিয়ে যেতে থাকে। দুদিন পানি স্থিতিশীল থাকলেও বুধবার ফের বাড়তে থাকলে আরও ২৫ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়। উপজেলায় মোট ৯৩ হেক্টর জমির ধান পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে।

কৃষকরা জানান, শ্রমিক সংকটে তারা ধান কাটতেও পারছেন না। যে শ্রমিক ১ হাজার টাকায় পাওয়া যেত, এ বছর সে শ্রমিককে দিতে হচ্ছে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা।

লাখাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শরীফ উদ্দিন জানান, সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে আরও বেশ কিছু জমি তলিয়ে গেছে। কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে খোঁজখবর নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত প্রায় ৯৩ হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে।

তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. আশেক পারভেজ দাবী করেন, জেলার নিম্নাঞ্চলের ৯ হাজার হেক্টর জমি ও উঁচু এলাকার ৩ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। নদীর পানি বাড়তে থাকায় নতুন করে নিমজ্জিত হয়েছে মাদনা এলাকার জুয়ারিয়া বিল। এ বিলের ৮৫ শতাংশ ধানই কেটে নেওয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :