ঈদকে ঘিরে কর্মব্যস্ত চুয়াডাঙ্গার দর্জি শ্রমিকরা

আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা
 | প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল ২০২২, ১২:৪৬

করোনার খড়া কাটিয়ে দীর্ঘ দুই বছর পর চুয়াডাঙ্গার ঈদ বাজার এখন পুরোদমে চাঙ্গা। মূলত ১০ রোজার পর থেকেই ঈদ মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় শুরু হয়েছে। এবারের ঈদ বাজারে কাটা থ্রি-পিসের দোকান, লেডিস কর্নার ও টেইলার্সগুলোতে রমজানের শুরু থেকে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। নারী ক্রেতারা মার্কেট থেকে কাপড় কিংবা পোশাকের পিছ কিনে এসব টেইলার্সের দোকানগুলোতে নিজের পছন্দ মতো পোশাক তৈরির জন্য ভিড় করছে। ফলে ট্রেইলার্সের সেলাই শ্রমিক ও মালিকদের চোখে এখন ঘুম নেই।

এদিকে রমজানের শুরু থেকেই শহরের টেইলার্সগুলোর সেলাই শ্রমিকদের (দর্জী) চোখের ঘুম অনেকটা হারাম হয়ে গেছে। সকাল থেকে গভির রাত পর্যন্ত সুই, সুতো আর নতুন কাপড় হাতে সময় পার করছে দর্জী বা কারিগর নামের সেলাই শ্রমিকরা। তারা এখন নির্ঘুম কর্মব্যস্ত সময় পার করছে।

মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন মার্কেটসহ পাড়ামহল্লার ছোট ছোট সেলাইয়ের দোকানগুলোতে ঘুরে সেলাই শ্রমিকদের ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরের ইমার্জেন্সি রোডে অবস্থিত প্রসিদ্ধ সেলাই দোকান হৃদয় টেইলার্সের স্বত্বাধীকারী মুনছুর আলী জানান, এ বছর রমজানের শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই পোশাক তৈরির অর্ডার পাচ্ছি। তবে করোনার সংক্রমণ থাকায় গত ২ বছর তেমন ব্যবসা হয়নি। যেহেতু এবার করোনা নেই তাই অনেক অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে। নতুন অর্ডার নেয়া প্রায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ইমার্জেন্সি রোডে অবস্থিত সোভা টেইলার্স অ্যান্ড অ্যাম্ব্রয়ডারী হাউসের স্বত্বাধীকারী আরিফ হোসেন জানান, এবার রমজানের শুরুতেই ভালো অর্ডার পাচ্ছি। যেহেতু অর্ডার বেশি তাই গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। করোনায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আশাকরি তা কাটিয়ে উঠতে পারবো।

চুয়াডাঙ্গার পুরাতন গলির ভিতর অবস্থিত মাহিয়া বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধীকারী জানায়, এবার রমজানের শুরুতেই ভালো অর্ডার পাচ্ছি। এবার ঈদে আশাকরি ভালো ব্যবসা হবে।

চুয়াডাঙ্গার আব্দুল্লাহ সিটির প্রজাপতি বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী সানজিদ সিফাত বলেন, আমার দোকানে লেডিস কাস্টমার খুব বেশি। এবছর ইন্ডিয়ান ভিনয়, হানসা, ফিরনাসহ নানান পোশাক মজুত করেছি। ইন্ডিয়ান ভিনয় ৩ হাজার ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৪ হাজার ৮৫০ পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। হানসা থ্রি-পিচ পাওয়া যাচ্ছে ৩ হাজার ৮৫০ টাকা, ইন্ডিয়ান ফিয়না ৪ হাজার ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৬ হাজার ৫৫০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও সুতি জয়পুরি থ্রি-পিচ ৫৮০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছে। সুতি অ্যাম্ব্রয়ডারী থ্রি-পিচ ১ হাজার ৩৫০ থেকে শুরু করে ২ হাজার ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

সেলাই শ্রমিকরা বলছেন, করোনার কারনে গেল দুই বছর তেমন কাজ না থাকায় পরিবার নিয়ে ঈদ করতে খুবই কষ্ট হয়েছে। এবার ঈদে কাজ অনেক বেশি থাকায় আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।

ক্রেতা শাহানা পারভীন বলেন, করোনার কারনে কয়েকটা ঈদে বাজারে তেমন আসতে না পাড়ায় কেনাকাটা করা সম্ভব হয়নি। এবার ঈদে প্রতিটা দোকানেই নতুন নতুন পোশাক পাচ্ছি। স্বাচ্ছন্দে কেনাকাটা করতে পারছি। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার দাম একটু বেশি।

(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :