তাড়াশে ফসলি জমিতে কীটনাশক স্প্রে, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে কৃষক

শায়লা পারভীন, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
 | প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১৬:৫৪

নাকে-মুখে কোনো মাস্ক বা কাপড় নেই। হাতে নেই কোনো হাতমোজা বা গ্লাভস। কাঁধে ঝোলানো কীটনাশকের মেশিন। মুখে বিড়ি নিয়ে মাঠে বিস্তীর্ণ ধানক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা।

উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা ভরদুপুরে তাদের জমিতে কীটনাশক স্প্রে করছেন। কারো নাকে-মুখেই কাপড় বা মাস্ক নেই। অনেক কৃষককে দেখা গেল টি-শার্ট পরে জমিতে কীটনাশক স্প্রে করছেন। কেউ আবার ধানের জমিতে সারের সঙ্গে আগাছানাশক মিশিয়ে গ্লাভস ছাড়াই হাত দিয়ে ছিটাচ্ছেন। অর্থাৎ নিয়ম-নীতি না মেনেই কৃষকরা যে যার মতো করে জমিতে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন।

উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের কৃষক আক্কাস আলী বলেন, জমিতে কীটনাশক স্প্রে করার বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না, এমনকি এলাকার বল্ক সুপারভাইজার কীটনাশক প্রয়োগের ওপর কোনো পরামর্শ দেন না।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি কৃষি কাজ করেন, কখনো কোনো অফিসার এসে কীটনাশক স্প্রে করার ব্যাপারে তাদের কোনো প্রশিক্ষণ দেননি বা সতর্ক করেননি।

কৃষকরা জানান, বাড়ি গিয়ে সাবান দিয়ে ভালো করে গা ধুইলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।

তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রুম্মন খান বলেন, মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার না করে কেউ কীটনাশক স্প্রে করলে তিনি বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন। তা ছাড়া ওই ব্যক্তির মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানো, বমি ভাব, চর্মরোগ, চোখ ও শরীরে এলার্জি, শ্বাসকষ্ট এমনকি ফুসফুসে বড় ধরনের রোগও হতে পারে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, কৃষকদের উপজেলায় প্রশিক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে মাঠ দিবসগুলোতে গিয়ে তাদেরকে সচেতন করা হয়। কারণ একজন কৃষক যখন ৫/১০ বছর এভাবে কীটনাশক স্প্রে ব্যবহার করেন। তখন দেখা যায় ক্যানসার সহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হন কৃষকেরা।

(ঢাকাটাইমস/২৪এপ্রিল/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :