দুর্নীতির মামলায় অং সান সু চির ৫ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশ | ২৭ এপ্রিল ২০২২, ১০:৪৫ | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২২, ১১:৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি। ওই দুর্নীতির মামলায় তাকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছে সামরিক জান্তার আদালত।

বুধবার জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আইন কর্মকর্তা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সু চির দুর্নীতি মামলার বিচার কার্যক্রম খুবই গোপনীয়তার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে।

সুচির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইয়াঙ্গুনের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফিও মিন থেইনের কাছ থেকে ৬ লাখ মার্কিন ডলার ও ১১ দশমিক ৪ কেজি (২৪ দশমিক ৫ পাউণ্ড) স্বর্ণ ঘুষ নিয়েছেন।

ফিও মিন থেইনকে সু চির ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারী বিবেচনা করা হতো। গত বছরের অক্টোবরে সু চিকে অর্থ ও সোনা ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন তিনি। তবে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন সু চি।

চলতি সপ্তাহের সোমবার দুর্নীতির এ মামলার রায় হওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু অনিবার্যবশত ওই দিন মামলার রায় স্থগিত করা হয়। কবে নাগাদ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে, সে বিষয়েও বিস্তারিত কিছু জানায়নি জান্তা সরকার। তারপর বুধবার আকস্মিকভাবে সু চির মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

সামরিক জান্তা সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির ১১টি অভিযোগ এনেছে। এসব মামলার মধ্যে স্থানীয় সময় বুধবার প্রথমটির সাজা হয়েছে।  আরও ১০টি মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। বর্তমানে দুটি মামলায় সু চির ৬ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। ফলে বুধবারে ৫ বছরের সাজাসহ মোট ১১ বছর কারাগারে থাকতে হবে সু চিকে।  

গত বছরের সেনা অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত হন অং সান সু চি। পরে তার বিরুদ্ধে উসকানি, ঘোষ নেওয়া থেকে শুরু করে নির্বাচনী ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয় আইন লঙ্ঘনসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিচারকে ‘প্রহসন হিসেবে আখ্যা দিলেও যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই সু চির বিচার হচ্ছে বলে দাবি দেশটির জান্তা সরকারের।

(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/আরআর)