এই অহংকারই আপনাকে শূন্য বানিয়ে দিতে পারে

প্রকাশ | ২৭ এপ্রিল ২০২২, ১৮:০৬

মাহতাব হোসেন

নুহাশ হুমায়ুনকে গতকাল প্রথম আলো ফেসবুক লাইভে ডাকা হয়েছিল। সেখানে কয়েকটি প্রশ্ন নুহাশের ভালো লাগেনি। ভালো নাই লাগতে পারে। কিন্তু ফেসবুকে নিজেকে যেভাবে প্রকাশ করলেন তা মানতে খারাপ লাগছে।

নুহাশ নিজের ফেসবুকে বলছেন, বাংলাদেশে রিপোর্টিং যদি আরেকটু সম্মানজনক হতো! একটু আগে আমি লাইভ ইন্টারভিউতে ছিলাম; ভেবেছিলাম ‘ষ’ নিয়ে কথা হবে। সেখানে আমাকে প্রশ্ন করা হলো, যদি আমার বাবা (হুমায়ূন আহমেদ) না হতেন, তাহলে আমি এই অবস্থানে আসতে পারতাম কি না?

বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি জানি না আন্তর্জাতিক একজন প্রশংসিত নির্মাতাকে আপনারা এই প্রশ্ন করেন কীভাবে? আপনাদের কি মনে হয়, সানড্যান্স, বুসান, এএক্সএসডাব্লিউ, মার্শে দ্যু ফিল্ম- বাপের নাম দেখে তারা ইনভাইট করে?’

কথা সত্য, বাবার পরিচয় দেখে তারা আপনাকে ডাকে না।  বাবার পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন করা ঠিক নয়।  কিন্তু তারা আপনার কী দেখে ডাকে? এটাই বুঝে পাই না। কিংবা তারা আসলেই কি ডাকে? নাকি ফরম পূরণ করে আমন্ত্রণ নিতে হয়? আমার প্রক্রিয়াটা জানা নেই।

আয়োজনের ১১ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে সঞ্চালক নুহাশের কাছে প্রশ্ন করেন, ‘যদি আপনি নুহাশ হুমায়ূন না হতেন, হুমায়ূনপুত্র না হতেন, তাহলে কি আপনি যেখানে ছিলেন সেখানে থাকতেন বলে মনে হয়?’

উত্তরে নুহাশ বলেন, ‘এ জিনিসগুলো না আসলে, খুবই আরাম লাগে। ইন্টারন্যাশনালি সবাই আমাকে আমার কাজের জন্য চেনে। ’ এরপর বলেন, ‘আমি ইন্টারন্যাশনালি সেলিব্রেটেড ফিল্মমেকার। ওখানে ফ্যামিলি-ট্যামিলি নিয়ে ভাবার স্পেস নাই।’

হ্যাঁ, ওখানে সত্যিই ফ্যামিলি ট্যামিলি নিয়ে ভাববার বিষয় নেই। কিন্তু ইন্টারন্যাশনালি সেলিব্রেটেড ফিল্মমেকার এটা জানতাম না। আপনাকে আমি জেনেছিলাম, টেলিফোন কোম্পানির একটা বিরক্তিকর অসলগ্ন বিজ্ঞাপন বানিয়েছিলেন- এরপর আর কিছু নয়।

হতে পারেন আপনি নুহাশ অনেক বড় মাপের নির্মাতা। কিন্তু আপনার কথাবার্তাতে যে অহংকার চলে এলো, চলে আসছে- তা আপনাকে শূন্য বানিয়ে দিতে পারে। মন থেকে চাই বড় হোন। বড় নির্মাতা হোন।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী

(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/এসকেএস)