ইভ্যালির রাসেলের মুক্তি নির্ভর করছে আরও ১১ মামলার জামিনে
আলোচিত ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে হওয়া ৪৬টি মামলার মধ্যে ৩৫টিতেই জামিন পেয়েছেন। বাকি ১১টি মামলায় জামিন পেলেই মুক্তি পাবেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সূর্যমূখী সেলে বন্দী রাসেল।
অর্ধেক দামে পণ্য দেওয়ার প্রলোভনে অগ্রিম টাকা জমা নিয়ে তিন বছর ধরে ইভ্যালির মাধ্যমে ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন। শামীমা ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানও।
অভিযোগ রয়েছে, রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এই অভিযোগের মুখে দায়গ্রস্ত ইভ্যালির প্রতারিত গ্রাহকদের মামলায় রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা দুজনই গ্রেপ্তার হন।
গুলশান থানায় করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় তাদের বাসায় অভিযান চালিয়ে ইভ্যালির সিইও রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। জালিয়াতির অভিযোগে করা ছয়টি মামলায় ছয় মাস কারাভোগের পর চলতি বছরের গত ৬ এপ্রিল গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান শামীমা নাসরিন।
শামীমা মুক্তি পেলেও সহসা কারামুক্ত হচ্ছেন না রাসেল। তার বিরুদ্ধে হওয়া ৪৬ মামলার ৩৫ মামলায় এরইমধ্যে তিনি আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। এর মধ্যে গত ২১ এপ্রিল একদিনেই চেক প্রতারণার নয়টি মামলায় জামিন পান রাসেল। বাকি ১১টি মামলা রয়েছে যেগুলোর জামিনের ওপর নির্ভর করছে রাসেলের কারামুক্তি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি সূত্র জানায়, রাসেল এই কারাগারের সূর্যমূখী সেলের একটি কক্ষে বন্দী রয়েছেন। সেখানে তার সঙ্গে আরো দুজন হাজতি রয়েছেন। রমজান মাসে কারাগারে পরিবারের কেউ তার সঙ্গে দেখা স্বাক্ষাত করতে যায়নি। স্ত্রী শামীমা জামিনে বের হলেও রাসেলকে দেখতে কারাগারে আসেননি।
ওই সূত্রটি আরো জানায়, কারাগারে খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন রাসেল। পত্রিকা পড়ে আর টেলিভিশনে খবর শুনে আর বিভিন্ন হাজতিদের সঙ্গে গল্প-আড্ডা করে সময় পার করেন তিনি। কারাগারের দেওয়া খাবার খান রাসেল। মাঝেমধ্যে প্রিজন ক্যান্টিন থেকেও খাবার কিনে আনেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. মাহবুবুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ইভ্যালির রাসেল আমাদের কারাগারে বন্দী। পরিবারের কেউ তার সঙ্গে ওইভাবে দেখা করতে কারাগারে আসেন না। তিনি অন্য ১০ জন হাজতির মতো কারাবিধি অনুযায়ী সব সুযোগ সুবিধা পান।
(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/ডিএম)