কলাপাড়ায় মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ পৌরবাসী

পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরের নাগরিকরা মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। শহরের কাভার ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিস্কার না করা, ময়লা আবর্জনা ফেলা এবং শহরের অভ্যন্তরে প্রবাহিত খালগুলো দখল, দূষনে প্রায় মরাখালে পরিণত হওয়ায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে মশার উপদ্রব। এতে আবাসিক এলাকা, হাটবাজার, অফিস পাড়ায় দিনের বেলায়ও মশার হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য মশার কয়েলের ব্যবহার বেড়েছে।

পৌরসভার এতিমখানা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিক অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান বলেন, ‘মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে আমি বাসার নীচতলা থেকে দোতলায় উঠেছি। কিন্তু সেখানে দেখি আরও বেশি মশার উপদ্রব। রাতে মশারী থেকে বেরিয়ে বাচ্চারা একবার ওয়াশরুমে এলে মশারীর ভেতরে অগনিত মশার অস্তিত্ব মেলে। মশারী টানিয়েও শান্তিতে একটু ঘুমের চিন্তা করা দুস্কর হয়ে উঠেছে।’

পৌরসভার ক্লিনিং সুপারভাইজার নুরুল হক বলেন, ‘পৌরসভা থেকে আমাদের ঔষধ কিনে না দিলে আমরা কিভাবে স্প্রে করবো। এছাড়া তার দাবি শহরের খোলা ড্রেন সবগুলো নিয়মিত পরিস্কার করা হয়। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাভার ড্রেন শুধু প্রেসক্লাবের সামনে পরিস্কার করা হয়েছে।’

কলাপাড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুবলাল দত্ত বনিক বলেন, ‘রাজস্ব খাত থেকে প্রতিবছর তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকার ঔষধ কিনে খরচ করা হয়। অর্ডারের ঔষধ হাতে পেলে দ্রুত নাগরিক সেবার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

কলাপাড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘পৌরসভার সামনে খালের উপর একটি কালভার্টের কাজ করার জন্য খালে বাঁধ দেয়ায় কিছুটা মশার উপদ্রব বেড়েছে। ৫-৭দিনের মধ্যে বাঁধ ছেড়ে দেয়ার পর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হলে মশার উপদ্রব কমে যাবে। এছাড়া ঈদের আগে মশা নিধনে পৌরসভার সব ওয়ার্ডে ঔষধ স্প্রে করা হবে বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৮এপ্রিল/এসএ)