পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া: ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছে মানুষ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ মে ২০২২, ১৬:০৭

প্রিয় মানুষদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ। কর্তৃপক্ষের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বিগত বছরের তুলনায় কোন ভোগান্তি ছাড়াই ফেরিঘাট পার হচ্ছে মানুষ। ঘাটে যানবাহনের চাপ থাকলেও নেই যানজট।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ। প্রতি ঈদে ভোগান্তি নিয়ে লাখ লাখ মানুষ স্বজনদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে যায়। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট একেবারেই উল্টো। ঈদ উপলক্ষে নানা উদ্যোগের কারণে অল্প সময় অপেক্ষা করেই ঘাট পার হতে পারছে। ফেরিঘাটে দুর্ভোগ না থাকায় খুশি যাত্রী ও যানবাহন চালকরা।

কুষ্টিয়ার ছেলে তাশদীদুর রহমান। পড়াশোনা করেন ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকার ধানমন্ডি থেকে আড়াই ঘণ্টায় পাটুরিয়া ঘাটে এসেছেন। তিনি অনেকটা আশ্চর্য হয়েই ঢাকা টাইমসকে বললেন, আমার জীবনে ঢাকায় থেকে ঈদ ছাড়া সময়েও এত তাড়াতাড়ি ঘাটে আসতে পারিনি। এবারের ব্যবস্থাপনায় আমি সত্যিই অনেক খুশি।

মারজিয়া রহমান জানান, আশুলিয়া থেকে বাসে উঠেছি সকাল সাড়ে ৬টার দিকে। যাব ঝিনাইদহ। ভেবেছিলাম এবারের ঈদযাত্রায় পথে অনেক ভোগান্তি হবে। কিন্তু দুই ঘণ্টায় ঘাটে এসে পৌঁছেছি। আর ফেরির নাগাল পেতে সময় লেগেছে মাত্র ৪৫ মিনিটের মত। রাস্তায় কোথাও জ্যামে বসে থাকতে হয়নি। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত আসতে কোন বেগ পোহাতে হয়নি।

সেবা গ্রিন লাইনের বাসচালক মহিদুর ইসলাম জানান, এমন কোন ঈদ নাই যে- আমাদের ঘাটে ৬/৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়নি। যে গরম ঘাট এলাকায় তাতে করে আমাদের অপেক্ষা করতে অনেক কষ্টই হয়। কিন্তু রাস্তায় যানবাহন থাকলেও যানজট নেই। এটার জন্য অনেক সময় আমাদের বেঁচে গেছে। সব মিলে ভালোই লাগছে।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, ঈদের আগেই আমরা বেশ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। তার মধ্যে ঘাটকে কীভাবে যানজটমুক্ত রাখা যায়- সেটাই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। এ জন্য আমরা ঘাট এলাকায় যানজট এড়াতে ১২ কিলোমিটার আগে টেপড়া বাসস্ট্যান্ড থেকেই ছোট গাড়িগুলোকে বাইপাস রোডের মাধ্যমে ৫নং ফেরি ঘাটে পাঠিয়ে দিয়েছি। এতে করে ঘাটের চাপ অনেকটাই কমে এসেছে। আশা করি, অন্য দিনের মত যদি আর একটা দিন এভাবে কাজ করতে পারি, তাহলে কোন দুর্ভোগ ছাড়াই সবাইকে নদী পার করতে পারব।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান জানান, ঈদের এক মাস আগে থেকেই জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশ, বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ মিলে অনেকবার সমন্বয় সভা করেছি। কীভাবে মানুষ কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরতে পারে। তার জন্য আমরা যেসব উদ্যোগ নিয়েছি, সেগুলো আমাদের পুলিশ অফিসার ও সদস্যরা ঠিকমত পালন করার কারণে এবারের ঈদযাত্রায় যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। ঈদ শেষে বাড়ি ফেরার পথেও আমাদের এমন চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট বড় মোট ২১টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পার করা হচ্ছে। আর ঘাটে আসা জরুরি পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ট্রাক টার্মিনালে অপেক্ষায় রাখা হচ্ছে। যানবাহনের চাপ কমে এলেই সেগুলো সিরিয়ালেরভিত্তিতে পার করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১মে/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :