ভোলার শীর্ষ সন্ত্রাসী মহসিন ও তার সহযোগী গ্রেপ্তার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ মে ২০২২, ১৯:৩০

৫০ থেকে ৬০ জন সদস্যদের একটি চক্র। ভোলার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের প্রধান মো. মহসিন গাজী এই দলের প্রধান বলে জানিয়ে র‌্যাব। এই চক্রটি ভোলার বিভিন্ন চর অঞ্চলে বসবাসরত সাধারণ জনগণের জীবন যাপনের ত্রাশ সৃষ্টি করত এই চক্রের সদস্যরা।

ভোলার শীর্ষ সন্ত্রাসী, জলদস্যু ও ডাকাত বাহিনীর প্রধান মহসিন ডাকাত ও তার সহযোগী জাকির ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

রবিবার দুপুরে র‌্যাব-৮ এর উপপরিচালক মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে বরিশাল জেলার বন্দর থানার নরকাঠী গ্রামে অভিযান চালিয়ে মো. মহসিন গাজী এবং তার সহযোগী মো. জাকির কাজী ওরফে জাহাঙ্গীর নামের ডাকাত দলের দুইজন সদস্যদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে একটি দুই নলা বন্দুক, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি পিস্তল, একটি রামদা, একটি বগিদা, ওয়ান শুটারগানের চার রাউন্ড গুলি, দুইটি পিস্তলের গুলি নগদ তিন হাজার ২৫০ টাকা উদ্ধার করে।

র‌্যাবের ভাষ্যমতে, ভোলার চর অঞ্চলের নদীপথে অসহায় ব্যাবসায়ীদের তরমুজের টলার, গরুর টলার, মহিষের টলার ও রড-সিমেন্টের টলার থেকে প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করত মহসিন ও তার দলের সদস্যরা। তারা স্থানীয় বিভিন্ন ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত চাঁদা নেওয়াসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করত। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, মহসিন ডাকাত ও তার বাহিনীর সদস্যরা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করত, তাদের মারপিট করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত, এছাড়াও তাদেরকে এলাকা ছাড়া করে ছাড়ত।

র‌্যাবের ওই সূত্রটি জানায়, মহসিন এবং জাকির ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভোলা, পটুয়াখালী ও বরিশাল জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছে। এছাড়াও ধৃত শীর্ষ সন্ত্রাসী, জলদস্যু ও ডাকাত বাহিনীর প্রধান মহসিন ডাকাত তার ৫০ থেকে ৬০ জন সহযোগীদের নিয়ে ভোলার বিভিন্ন চর অঞ্চলে বসবাসরত সাধারণ জনগণের জীবন যাপনের ত্রাস সৃষ্টি করে। চর অঞ্চলের নদীপথে অসহায় ব্যাবসায়ীদের তরমুজের টলার, গরুর টলার, মহিষের টলার ও রড-সিমেন্টের টলার থেকে প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করত। স্থানীয় বিভিন্ন ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত চাঁদা নেওয়াসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করত। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, মহসিন ডাকাত ও তার বাহিনীর সদস্যরা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করত, তাদের মারপিট করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত, এছাড়াও তাদের এলাকা ছাড়া করত।

র‌্যাব জানায়, এই চক্রটি ভোলার চর অঞ্চলের জমি জোর করে দখলে মহসিন ডাকাত ও তার বাহিনী মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সহায়তা করে থাকে। মহসিন ডাকাত বাহিনীর কাছে স্থানীয় অনান্য ডাকাত ও সন্ত্রাসী বাহিনীও জিম্মি। মহসিন ডাকাত বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন সময় জোর করে নারী নির‌্যাতন, ধর্ষণ ও অপহরণ করত। এছাড়াও জেলেদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ডাকাতি, চাঁদাবাজি লুন্ঠনসহ নদীতে মাছ ধরায় জেলেদের বাধা দিত। ওই ডাকাত দলের ভয়ে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে যেতে ভয় পাওয়াসহ তাদের অস্বাভাবিক জীবনযাপন করত। এছাড়াও ইঞ্জিনচালিত নৌকা যোগে গভীর সমুদ্রে গিয়ে জেলেদের মাছ ধরার নৌকায় ডাকাতি ও জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করত। আর মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হলে তাদের প্রাণে মেরে ফেলতো, মহসিন ডাকাত বাহিনীর ভয়ে ভুক্তভোগী কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।

র‌্যাব-৮ এর উপপরিচালক মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ঢাকাটাইমসকে বলেন, গ্রেপ্তার মো. মহসিন গাজীর ১৪ টি মামলা আর তার সহযোগী জাকির কাজী ওরফে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৮ এর উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে বন্দর থানায় অস্ত্র আইনে ও ডাকাতি প্রস্তুতির আলাদা দুইটি মামলা করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত মো. মহসিন গাজী ভোলা জেলার দৌলতপুর থানার দক্ষিণ জয়নগর গ্রামের কায়সার আহম্মেদ গাজীর ছেলে আর তার সহযোগী মো. জাকির কাজী ওরফে জাহাঙ্গীর একই গ্রামের সেকেন্দার কাজীর ছেলে।

(ঢাকাটাইমস/০১মে/এএ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :