কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৪

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০২ মে ২০২২, ২৩:৪৬ | প্রকাশিত : ০২ মে ২০২২, ২০:১৯

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ঝাউদিয়ার আস্তাননগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে চারজন নিহত এবং অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষন করে।

নিহতরা হলেন- স্থানীয় আস্তানগর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজিজুল হকের ছেলে মতিয়ার রহমান (৪৫), দাউদ মন্ডলের ছেলে লাল্টু মন্ডল (৪২), মৃত হোসেন মন্ডলের ছেলে আবুল কাশেম (৬৫) এবং মৃত আবুল মালিথার ছেলে আব্দুর রহিম মালিথা (৭০)।

প্রথম তিনজন বর্তমান ঝাউদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান সমর্থক এবং আব্দুর রহিম মালিথা প্রতিপক্ষ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত আলীর সমর্থক।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আস্তানগর গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা কেরামত গ্রুপ ও ফজলু গ্রুপের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আস্তানগর বাজারে কেরামত আলীর সমর্থক আব্দুর রহিম মালিথার সাথে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে মেহেদী হাসানের সমর্থকরা রহিমের ওপর ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এসময় লাঠির আঘাতে রহিম মাটিতে পরে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মেহেদী সমর্থকরা স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়।

ইতোমধ্যে রহিমকে মারধরের সংবাদ পেয়ে কেরামত আলীর সমর্থকরা পাল্টা মেহেদী সমর্থকদের ওপর হামলা চালালে দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মেহেদীর সমর্থকরা পালিয়ে যায়। এই সুযোগে কেরামত আলী সমর্থকরা হামলা চালিয়ে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মেহেদী সমর্থক মতিয়ার, লাল্টু ও আবুল কাশেমকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।

পরে সংবাদ পেয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানা পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে জরুরী বিভাগের কর্তৃব্যরত চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষনা করেন।

এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি আহত ১৫ জনের মধ্যে আরও দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল আলম।

ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান রতন জানান, আধিপত্য বিস্তার ও জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দের জেরে কেরামত আলী সমর্থক ও মেহেদী হাসান সমর্থকদের মধ্যে পূর্ব থেকেই উত্তেজনা চলছিল। সোমবার দ্ইু পক্ষের সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।

চারজন নিহতের ঘটনায় রাত দশটা পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি জানিয়ে ওসি বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাক তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

এদিকে সংঘর্ষের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত আলী দাবি করেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত মেহেদী হাসান তার লোকজনদের লেলিয়ে দিয়ে তার বডিগার্ড রফিকুলের পিতা রহিম মালিথাকে হত্যা করেছে।

(ঢাকাটাইমস/০২মে/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :