ঈদের দিনের খানাপিনা

ঢাকাটাইমস, ডেস্ক রিপোর্ট
 | প্রকাশিত : ০৩ মে ২০২২, ১১:৫৬

এক মাস সিয়াম সাধনা বা রোজার শেষে এসেছে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। এদিন আনন্দে বাড়িয়ে দেয় খাওয়া-দাওয়ার ধুম। এই দিনে ঘরে ঘরে চলে নানান রকমের খাবারের আয়োজন।

নবী মুহাম্মদ স এর আচার মেনে ঈদের সকালে মিষ্টান্ন দিয়ে দিন শুরু করেন মুসলমানরা। এই অঞ্চলে মিষ্টান্ন হিসেবে সেমাইয়ের চল বেশি। ঘরে ঘরে চলে নানান রকমের সেমাই, পায়েস, ফিরনি, পুডিং ইত্যাদি।

ঈদের দিনের খাবার দাবার

সকালে মিষ্টি মুখের পর হাল্কা ভারী খাবার থাকতে পারে ঈদের সকালের নাশতায়। যেমন রুটির পাশাপাশি থাকতে পারে হালকা তেলে ভাজা পরোটা বা সবজির নরম খিচুড়ি। তার সঙ্গে মুরগির তরকারি বা ডিম ভুনা রাখা যায়। তবে সকালের খাবারকে স্বাস্থ্যকর বানাতে একটা সবজি রাখতে হবে অবশ্যই।

দুপুরের খাবার

ঈদের দিনে দুপুরের খাবারে খুব হালকা তেলের পোলাউ বা খিচুড়ি খাওয়া যাবে। সবচেয়ে ভালো হয় পোলাউ বা খিচুড়িতে সবজির ব্যবহার থাকলে। এই গরমে ডুবো তেলে ভাজা বা অতিরিক্ত মসলাদার খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। লাল মাংসের পরিবর্তে বেক করা কাবাব বা গ্রিল করা মুরগি ভালো খাবার হবে। ঈদের দিনে সুস্থ থাকতে রান্নার কৌশলের পরিবর্তনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। রান্না পদ্ধতির কিছুটা পরিবর্তনের মাধ্যমে যেকোনো মজাদার খাবারই খাওয়া যায়। মাছ বা মাংস ডুবো তেলে না ভেজে স্বাস্থ্যকর উপায়ে এয়ারফ্রায়ারে তেল ছাড়া ভেজে খেতে পারেন। এ ছাড়া দুপুরের অন্য খাবারের পাশাপাশি কম তেল মসলার চায়নিজ সবজি ও সালাদ খুবই স্বাস্থ্যকর পদ। রান্না করা যেতে পারে সবজির কোর্মাও। কোমল পানীয়ের বদলে বোরহানি বা মাঠা খাওয়াই উত্তম, খাবারের পর রাখতে হবে টক দই।

বিকালের নাশতা

ঈদের দিনে অনেকে দুপুর ও রাতের মাঝের সময়টাতে হালকা কিছু খান। সে ক্ষেত্রে ফুচকা ছাড়া বা অল্প ফুচকা দেওয়া চটপটি খেতে পারেন। যেহেতু এখন বেশ গরম, তাই এ সময়ের সব থেকে পুষ্টিকর খাবার হলো তাজা ফল বা ফলের সালাদ। এ ছাড়া ফলের জুস, বেলের শরবত, ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে, তাতে শরীরে পানিস্বল্পতা তৈরি হবে না। আবার চিকেন ভেজিটেবল স্যুপ, স্টু জাতীয় খাবারও রাখা যায়।

রাতের খাবার

কেউ যদি মনে করেন, রাতে ভালো খাবার খাবেন, সে ক্ষেত্রে মাছ বা মাংসের ভিন্নধর্মী রান্নার সঙ্গে ভাত খেলে মেন্যুটা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হবে। ঈদের রাতে দাওয়াতে গেলেও ভালো খাবার, আবার বাড়িতে থাকলেও ভালো খাবার। তাই রাতের খাবারের মেন্যু একটু ভিন্নভাবে করলে ভালো। মাংসের একটি স্বাস্থ্যকর পদ বা বাসায় থাকলে মাছের একটি পদ হতে পারে আদর্শ খাবার। সঙ্গে একটি পদ সবজি রাখতে পারেন।

(ঢাকাটাইমস/০৩মে/কেআর/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :