ঈদের দীর্ঘ ছুটি চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজের জটলা

প্রকাশ | ০৫ মে ২০২২, ১৬:৩০

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

মহান মে দিবস আর ঈদ মিলে টানা আট দিন বন্ধ রয়েছে শিল্প কারখানা। সে হিসেবে শনিবার (৭ মে) ঘুরবে কারখানার চাকা। এদিকে কারখানা বন্ধ থাকায় আমদানিকারকরা জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রেখেছেন। এ কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহিনোঙ্গরে দিনকে দিন বাড়ছে পণ্যবোঝাই কন্টেনাইরবাহী জাহাজের সংখ্যা। তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, আমদানিকারকরা আন্তরিক হলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে জাহাজজট থাকবে না।

পবিত্র ঈদের ছুটিতে শুধুমাত্র ঈদের দিন আট ঘণ্টা বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। অন্য সময় সচল ছিল বন্দরের কার্যক্রম। কিন্তু চট্টগ্রামের এক হাজার ৪৬টি ছোট-বড় কারখানার লাখ লাখ শ্রমিক এখন ঈদের ছুটিতে আছেন। কারখানার মূল ফটকে কেয়ারটেকার ছাড়া আর কারো অস্তিত্ব নেই। এই অবস্থায় কারখানা মালিকরাও তাদের আমদানি পণ্যের খালাস কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন।

শনিবার কারখানা খুললেও রবিবার জাহাজ থেকে পণ্যগুলো খালাস করা শুরু করবেন অধিকাংশ কারখানা মালিক। প্রতিবছর ঈদের এ সময়ে জাহাজজট তৈরি হয় এবং এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় লাগে।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আমদানিকারকরা পণ্য না নেয়ায় বন্দরের বহিনোঙ্গরে জাহাজের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনই দুই-তিনটি করে জাহাজ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে। এখন পর্যন্ত বহিনোঙ্গরে ২০টি জাহাজ খালাসের অপেক্ষায় আছে। শনিবার পর্যন্ত এ জাহাজের সারি আরো দীর্ঘ হবে।

বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের শ্রমিকরা সারাবছর পরিবার পরিজন থেকে দূরে থেকে শ্রম দিয়ে আমাদের কারখানা আর দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখেন। তাদেরও অবসর সময় কাটানোর সুযোগ দিতে হবে। শনিবার কারখানা খুললেই আমাদের আমদানি করা কাঁচামাল লাগবে। কাজেই তা দ্রুত আমাদের প্রয়োজনেই খালাস করতে হবে। আশা করছি, কোন ধরনের সমস্যা বা জটিলতা তৈরি হবে না।

শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, কারখানা বন্ধ থাকায় প্রতিবছর ঈদের সময় বহিনোঙ্গরে জাহাজের সংখ্যা বাড়ে। আর জাহাজ আসাও তো বন্ধ রাখা যাবে না। আশা করব পণ্য আমদানিকারকরা দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করলে দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, কারখানাগুলো বন্ধ থাকায় বন্দরের বহিনোঙ্গরে জাহাজগুলো অপেক্ষায় আছে। জাহাজের সংখ্যা বাড়লেও এটা খুব সাময়িক। কারখানা খুললেই ব্যবসায়ীরা পণ্য নিয়ে যাবেন। আশা করছি, আমদানিকারকরা দ্রুত সময়ে পণ্য খালাস করে সহযোগিতা করলে কোন ধরনের বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হবে না।

(ঢাকাটাইমস/৫মে/এলএ)