নাতিকে বাঁচাতে গিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় প্রাণ গেল মুয়াজ্জিনের
নাতিকে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা থেকে রক্ষা করতে তাদের হামলায় মারা গেছেন নানা চাঁদ মিয়া (৭০)। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। নিহত চাঁদ মিয়া স্থানীয় জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার দক্ষিণ চন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সুজন (১৯) নামে কিশোর গ্যাংয়ের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
দুপুরে জেলার সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার রাজাপুর ভূঁইয়া মার্কেটের একটি ওয়ার্কসপে কর্মরত বৃদ্ধ চাঁদ মিয়ার নাতি কিশোর এমরান স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের এক সদস্যকে তুই সম্বোধন করায় গ্যাং লিডার বাপ্পীর নেতৃত্বে তাকে মারধর শুরু করা হয়। এ সময় এমরান দৌড়ে তার নানার বাড়িতে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি সে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানাবে বললে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে তারা এমরানকে তুলে নেয়ার জন্য তার নানার বাড়িতে এসে হামলা করে। এ সময় এমরানের নানা চাঁদ মিয়া হামলাকারীদের শান্ত করতে এগিয়ে গেলে গ্যাং সদস্যরা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই চাঁদ মিয়া মারা যান। পরে পুলিশ এসে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য জামিরতলী গ্রামের সুজনকে (১৯) আটক।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মোসলেহ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি এই এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপতৎপরতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। ঈদের আগের দিন তারা চন্দ্রপুর গ্রামের সিএনজিচালক লোকমানসহ পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেছে।
(ঢাকাটাইমস/৫মে/এলএ)