ভারতে ধর্ষণের মামলা করতে গিয়ে পুনরায় ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ভারতের উত্তর প্রদেশের স্থানীয় একটি থানায় ধর্ষণের মামলা করতে যাওয়া এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনা দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
কিশোরীর বাবার দায়ের করা এফআইআর-এ বলা হয়েছে, গত ২২ এপ্রিল চারজন লোক মেয়েটিকে নিয়ে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে নিয়ে যায়। সেখানে তারা চারদিন ধরে কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে।
গত মাসে ১৩ বছরের ওই কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। পরে ওই কিশোরীকে উত্তর প্রদেশের ললিতপুরে তার গ্রামে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
ফিরে আসার পরদিন মেয়েটি তার এক আত্মীয়কে নিয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে যায়। কিন্তু ওই থানার ডিউটি অফিসার তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম তিলকধারী সরোজ। অভিযোগ উঠার পর তিনি পালিয়ে যান। কিন্তু গত বুধবার ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া, ঘটনার সময় ওই পুলিশ স্টেশনে দায়িত্বরত সব পুলিশকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় উচ্চ-পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন।
ললিতপুর জেলা পুলিশ প্রধান নিখিল পাঠক সাংবাদিকদের বলেন, দাতব্য সংস্থা ‘চাইল্ডলাইন’ মেয়েটিতে তার কার্যালয়ে নিয়ে এসেছিল।
‘‘মেয়েটি তার সঙ্গে যা ঘটছে তার সবটা আমাকে বলেছে। আমি সেসব জানার পর এ বিষয়ে একটি ফৌজদারি মামলা নিশ্চিত করেছি।’’
উত্তর প্রদেশের এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে কংগ্রেস পার্টির নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইটারে লেখেন, ‘যদি পুলিশ স্টেশন নারীদের জন্য নিরাপদ না হয়, তবে অভিযোগ জানাতে তারা কোথায় যাবে?’
‘‘ইউপি সরকার কী সত্যি সত্যি পুলিশ স্টেশনে নারীদের নিয়োগ বাড়ানোর কথা ভাবছে, যাতে পুলিশ স্টেশন নারীদের জন্য নিরাপদ হয়ে উঠে?”
(ঢাকাটাইমস/০৫মে/আরআর)