যমুনায় ঈদ আনন্দে বিনোদন প্রেমীদের উপচেপড়া ভিড়!

ভূঞাপুর (টাঙ্গইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৬ মে ২০২২, ২০:১৫

যান্ত্রিক জীবনে কর্ম ব্যস্ততার ফাঁকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দকে উপভোগ করতে মেতেছে বিনোদন প্রেমীরা। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড়ে যমুনা নদীর তীরবর্তী গরিলাবাড়ী এলাকায় পাথরঘাটে গড়ে উঠেছে বিনোদন কেন্দ্র। যমুনা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু দেখতে ছুটে আসছেন টাঙ্গাইলসহ দেশের নানা প্রান্তের মানুষ। এই বিনোদন কেন্দ্রে সন্ধ্যায় সূর্য্যাস্ত দেখা মেলায় প্রকৃতির পরিবেশ হয়ে ওঠে মনোরম।

শুধুু তাই নয়, বঙ্গবন্ধু সেতু ছাড়াও রয়েছে আনন্দ পার্ক, বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্ট, জাদুঘর, শিশু পার্ক, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরাল, বঙ্গবন্ধু সেনানিবাস কপি হাউজ ও বিপনীবিতান মার্কেট, সুইমিংপুল। দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে নৌকা বা ছোট ট্রালার যোগে নদী পথে সেতু দেখার ব্যবস্থা। এদিকে, ঈদকে কেন্দ্র করে পাথরঘাটে নৌকা সারিবদ্ধভাবে মাঝিরা সাজিয়ে রেখেছেন দর্শনার্থীদের জন্য। এখানে অসংখ্য কোমল, ফুসকাসহ নানা রকম দোকানপাট গড়ে উঠেছে।

সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড়ের পাথরঘাট এলাকায় ঘুরে দেখা যায়- যমুনা পাড়ে সূর্য্যাস্ত দেখতে পরিবার-পরিজন নিয়ে, কেউ তাদের পছন্দের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে আসেন। এখানে নৌকা বা ট্রলার দিয়ে ঘুরতে জনপ্রতি ৪০/৫০ টাকা দিয়ে সেতু দেখছেন খুব কাছ থেকে। পাশেই নির্মাণধীন রেল সেতুর দেখছেন।

সিরাজগঞ্জের গোয়লা থেকে ঘুরতে আসা লিপা আক্তার বলেন, ‘সারা বছর আমরা ব্যস্ত থাকি সংসার নিয়ে। ঈদের দিন অন্যদিনগুলো থেকে আমাদের কাছে বিশেষ একটি দিন। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছি।

সরিষাবাড়ী থেকে আসা ছন্দা বলেন, ‘করোনার কারণে গেল দুই বছর ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেনি পরিবার নিয়ে। এবার যেহেতু করোনার প্রকোপ কম তাই ঈদ উপলক্ষে ঘুরতে এসেছি। এরআগে কখনো বঙ্গবন্ধু সেতু কাছ থেকে দেখতে পারেনি। এখানে এসে খুব ভাল লাগছে।’

গাজীপুর থেকে আসা মো. হেমায়েত উল্লাহ বলেন, ‘শহরে যান্ত্রিক জীবন থেকে বের হয়ে ঈদকে কেন্দ্র করে ছেলে-মেয়ে ও ভাতিজি নিয়ে এই প্রথম বঙ্গবন্ধু সেতু দেখতে এসেছি। এখানে প্রচুর মানুষ। বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত লাভ পেয়েছে তাই সরকারের উচিত আরও উন্নত ব্যবস্থা করাসহ এদিকে নজর দেয়া।’

স্থানীয় শিক্ষক আব্দুল লতিফ তালুকদার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড়ের যমুনা নদীর পাথর ঘাট এলাকাটি বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। সেতু নির্মাণ হওয়ার পর থেকে সেতু দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসে। টাঙ্গাইলের তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকাকে বেছে নেন বিনোদনপ্রেমীরা। সরকারিভাবে উদ্যোগ নিলে এখানে দেশের বৃহতম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। যেখানে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারবে সরকার ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।’

অপরদিকে, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার পক্ষ থেকে গত বছরের মতো এবারো ব্যবস্থা করা হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তার। এছাড়া সাধারণ দর্শনার্থীসহ রাজনীতিবিধ দেশের বিশিষ্ঠ্যদের নিরাপত্তার ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। সেতু এলাকায় টহল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব নৌ ফাঁড়ি পুলিশ স্টেশন অফিসার ইনচার্জ মো. ফজলুল হক মল্লিক বলেন, ‘এখানে দেশের বিভিন্ন জেলার দর্শানার্থীরা আসছে। তাদের নিরাপত্তায় আমাদের সেতু পূর্ব নৌ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছে। দর্শনার্থীরা এখন পর্যন্ত কোন অপ্রতিকর বা হয়রানিমূলক অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/০৬মে/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :