গাইবান্ধায় যাত্রী নিয়ে নাব্য সঙ্কটে ডুবোচরে আটকে গেল এমভি মোহাব্বত

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ মে ২০২২, ১৩:১২

গাইবান্ধায় পরীক্ষামূলকভাবে বালাসী-বাহাদুরাবাদঘাট নৌরুটে লঞ্চ সার্ভিস চালুর প্রায় দুই মাসের মাথায় দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে নাব্য সঙ্কটে ডুবোচরে আটকে গেছে এমভি মোহাব্বত ও রিভারস্টার নামে দুটি লঞ্চ।

শনিবার সকালে ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট থেকে আধাকিলোমিটার দূরে ব্রহ্মপুত্র নদে এমভি মোহাব্বত নামে একটি লঞ্চ ডুবোচরে আটকে যায়। পরে নৌকা ও স্পীডবোটে লঞ্চে আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় রিভারস্টার নামে আরেকটি লঞ্চ ডুবোচরে আটকে যায়। বর্তমানে এই রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

আশরাফুল আলম নামে লঞ্চের এক যাত্রী জানান, যানজট থেকে বাঁচতে ও সময় কম লাগার জন্য বালাসী-বাহাদুরাবাদঘাট রুট হয়ে ঢাকা যাচ্ছিলাম। কিন্তু কিছু দূর যেতেই লঞ্চটি ডুবোচরে আটকে যায়। যানজট থেকে বাঁচতে যদি এমন বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় তাহলে তো লঞ্চ সার্ভিসের দরকার নেই।

মঞ্জু মিয়া নামে আরেক যাত্রী জানান, শুনেছি এই রুট খননের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। কি খনন হয়েছে বোঝাই যাচ্ছে। যেখানে লঞ্চ চলাচল করতে পারে না ফেরী তো সেখানে স্বপ্নের মত। শুধু শুধু সরকারের টাকাগুলো নষ্ট করা হয়েছে।

লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান জানান, নাব্য সংকটের কারণে প্রায়ই এই রুটে লঞ্চ বালিতে আটকে যায়। এবার এমনভাবে লঞ্চ দুটি ডুবোচরে আটকে গেছে ড্রেজিং ছাড়া কোনভাবেই ছাড়ানো সম্ভব নয়। এ অবস্থায় যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। নিয়মিত ড্রেজিং ব্যবস্থা চালু থাকলে তবেই এই রুটে লঞ্চ চলাচল সম্ভব।

প্রসঙ্গত: বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর চাপ কমানো এবং উত্তরবঙ্গের ৮ জেলার সঙ্গে যাতায়াত সহজ করতে বালাসী-বাহাদুরাবাদঘাট নৌ-রুটে পরীক্ষামূলকভাবে গত ৮ মার্চ দুটি লঞ্চ সার্ভিসের উদ্ধোধন করেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।

এর আগে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে একনেকের এক সভায় বালাসীঘাট থেকে বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত নৌ রুটটি আবারও চালু করে ফেরি ঘাট নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটির প্রথম ব্যয় ধরা হয়েছিল তখন ১২৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।

পরবর্তী সময়ে দুবার সংশোধন করে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে ১৪৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা খরচ করে বাস টার্মিনাল, টোল আদায় বুথ, পুলিশ ব্যারাক, ফায়ার সার্ভিস ও আনছার ব্যারাকসহ বেশ কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএর কারিগরি কমিটি হঠাৎ করে নাব্যসংকট ও ২৬ কিলোমিটার বিশাল দূরত্বের নৌপথসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে নৌ রুটটি চলাচলে অনুপযোগী বলে প্রতিবেদন দেয়।

(ঢাকাটাইমস/৭মে/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :