জামালপুরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, হত্যা নাকি আত্মহত্যা

সোলায়মান হোসেন, জামালপুর:
 | প্রকাশিত : ০৭ মে ২০২২, ১৯:৫৮

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের পাহাড়ীপটল এলাকায় কনিকা আক্তার

চায়না (২৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৭ মে) সকাল সাড়ে নয়টায় দিকে ঘরের বারান্দায় ঝুলতে অবস্থায় মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর লাশ উদ্ধার করে মেলান্দহ থানা পুলিশ।

নিহত ওই নারীর ডান পায়ে আঘাত ও গায় রক্তাক্ত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ দিকে ঘটনার পর থেকে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। তবে পুলিশ বলছে হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা দিকে উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের পাহাড়ীপটল এলাকায় প্রবাসী নুরুল ইসলাম লেমনের স্ত্রী কনিকা আক্তার চায়নার লাশ ঘরের বারান্দায় ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। চায়নার স্বামী লেমন আট বছর আগে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। তিনি (২ এপ্রিল) সৌদি আরব থেকে বাড়িতে আসেন। লেমন সৌদি আরবে যাওয়ার সময় চায়নাকে তালাক দিয়ে যান।‌ ওই সময় চায়না অন্তঃসত্ত্বা ছিল। পরবর্তীতে আবার লেমনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়।

নিহত কনিকা আক্তারের বড় ভাই মনির হোসেন বাবু বলেন, 'আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে লেমন ও তার বাবা আলফাজ মেম্বার। ৮ বছর আগে লেমন সৌদিতে যাওয়ার আগে আগে আমার বোনকে গোপনে তালাক দিয়ে চলে যান। বাচ্চা পেটে থাকায় তালাক হয়নি সে সময়। পরবর্তীতে মোবাইল ফোনে বিয়ে হয় আবার। ঈদের আগের দিন লেমন বাড়িতে আসে। গত শুক্রবারে আমি ও আমার আর এক বোন তাদের বাড়িতে যাই দাওয়াত করে ডেকে আনার জন্য আমাদের বাড়িতে। আজ আমাদের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তাদের কিন্তু তার আগেই আমার বোনকে মেরে ফেলল তারা।'

মেলান্দহ থানার উপপরিদর্শক এসআই (জাহিদুল) বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করি। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ডান পায়ে আঘাতের চিহ্ন ও নাকে রক্ত ছিল।

এ ঘটনায় মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ময়নুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর ঘটনার কারণ জানা যাবে।

এদিকে উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের কাজাইকাটা এলাকায় মো. আনিসের (২২) ঝুলন্ত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

শনিবার (২মে) বেলা ১১টা দিকে কাজাইকাটা তাঁর নিজ বাড়ীর পাশে একটি কাট গাছে সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। নিহত মোঃ আনিস ওই এলাকার সরবেশ আলীর ছেলে। তিনি এক্সকাভেটর চালক ছিলেন।

মেলান্দহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দিলীপ চন্দ্র সরকার বলেন, আমারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করি। কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তাই এখনো জানা যায়নি।

(ঢাকাটাইমস/০৭মে/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :