কেন নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামুনুল হক

প্রকাশ | ০৯ মে ২০২২, ১৬:৩৪

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল  ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’র সঙ্গে অবস্থানরত অবস্থায় আটক করা হয় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে। এ ঘটনায় করা মামলায় তাকে সোমবার চতুর্থ দফায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে তোলা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় মামুনুল হকের।

সোমবার সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। চার্জশিটের ৯, ১০, ১১ ও ১২নং সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে চতুর্থ দফায় সাক্ষ্যদাতারা হলেন, নাজমুল হাসান শান্ত, মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনি ও রতন মিয়া।

এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তৃতীয় দফায় তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘন্টা নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে মামুনূল হকের উপস্থিতিতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষ্যদাতাদের তিনজন ছিলেন- সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, রয়েল রিসোর্টের আনসার সদস্য ইসমাঈল এবং এক্সিকিউটিভ মাহবুবুর রহমান।

এর আগে ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে ঘেরাও করে। খবর পেয়ে হেফাজতে ইসলামের স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ’ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন মামুনুল হক।

(ঢাকাটাইমস/০৯মে/কেআর/কেএম)