উত্তাল বঙ্গোপসাগর, ঝুঁকিতে কলাপাড়ার চার ইউনিয়নের বেড়ি বাঁধ

প্রকাশ | ০৯ মে ২০২২, ২০:৩৯

এস কে রঞ্জন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’র প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। জেলেরা গভীর সমুদ্রের মাছ ধরা বন্ধ করে ট্রলার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে শুরু করেছেন। আকাশে মেঘের ঘনঘটা বিরাজ করছে। সোমবার সকাল থেকেই টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সারাদিন দেখা মেলেনি সূর্যের। ঘূর্ণিঝড় আসানির খবরে উৎকণ্ঠা বেড়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বেড়ি বাঁধের বাইরে বসবাসরত লোকজনদের।

এদিকে পায়রাসহ সব বন্দরে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সাথে সকল মাছধরা ট্রলারসমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ২০১ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লালুয়া, ধানখালী, চম্পাপুর ও মহিপুর ইউনিয়নের বেড়ি বাঁধ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকলে এবং ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’ উপকূলে আঘাত হানলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে মুগডাল ও বোরো চাষিরা। ইতোমধ্যে অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য বন্দরের পোতাশ্রয়ে আশ্রয় নিলেও কিছুসংখ্যক ট্রলার এখনও গভীর সাগরে অবস্থান করছে। তবে শিগগির সকল মাছধরা ট্রলার তীরে পৌঁছাবে বলে জানান মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতি।

লালুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, লালুয়া ইউনিয়নের প্রায় আট কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ নেই। জলোচ্ছ্বাস হলে ইউনিয়নের ১১টি গ্রামের ফসলি জমি, পুকুর, ঘের তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

মহিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলু গাজী বলেন, নিজামপুর ও কমরপুর পয়েন্টে বেড়ি বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ।

ধানখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদার বলেন, নিশান বাড়িয়া পয়েন্টের বাঁধটি ভেঙে গেলে নিশান বাড়িয়া, গন্ডামারি, পাঁচজুনিয়া ও লোন্দা গ্রাম প্লাবিত হবে বলে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

কুয়াকাটা ও আলীপুর মৎস্য আড়ৎ সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ঘূর্ণিঝড় আসানির প্রভাবে বর্তমানে সাগর উত্তাল রয়েছে। অধিকাংশ মাছ ধরা ট্রলার গভীর সমুদ্রে থেকে তীরে আড়ৎ ঘাটে আশ্রয় নিয়েছে। আর সে সব ট্রলার এখনও সাগরে অবস্থান করছে, তাদের বিভিন্ন মাধ্যমে তীরে এসে নিরাপাদে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি পরিচালক কলাপাড়া উপজেলা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় আসানি বর্তমানে দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পায়রা বন্দর থেকে ১০০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। বাতাসের গতি বেগ ৮৯ থেকে  ১১৭ কিলোমিটার। এটি মূলত ভারত উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৯মে/এলএ)