ঘূর্ণিঝড় আসানি: বাগেরহাট উপকূলে ৩৪৪ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১০ মে ২০২২, ১৬:২৬ | প্রকাশিত : ১০ মে ২০২২, ১৬:০০

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আসানি মোকাবেলায় উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে প্রশাসন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে উপকূলীয় জেলার জেলেরা নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরতে শুরু করেছে। বাগেরহাট শহরের প্রধান কেবি মাছ বাজার ঘাটে ট্রলার রেখে অবস্থান করছেন জেলেরা। দুর্যোগের সময় যাতে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারে সেজন্য ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খোলা রাখা হবে। জেলার ৯১ ভাগ জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তুলেছে কৃষক। বাকি ৯ ভাগ ধান দুয়েকদিনের মধ্যে কেটে কৃষক ঘরে তুলতে পারবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।

অন্যদিকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোংলা বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্দরে অবস্থান নেওয়া জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ চলছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার মো. ফকরউদ্দিন বলেন, মোংলা বন্দরে বর্তমানে দেশি-বিদেশি চারটি জাহাজ অবস্থান করছে। জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ চলছে। ঝড়ের সিগনাল না বাড়া পর্যন্ত বন্দরের সব কাজ স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। তবে ঝড়ের পূর্বাভাসে মোংলা বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলার পর বন্দরের সব নৌযান নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া মোংলার কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর ছোটবড় জাহাজগুলোকে বন্দরের অভ্যন্তরে রাখা হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শেখ ইদ্রিস আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড় আসানির পূর্বাভাস পেয়ে জেলেরা কূলে ফিরেছে। আর যারা এখনো ফিরতে পারেনি তারা পাশের নদীখালে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। জেলেরা আগের থেকে এখন অনেক সচেতন। তবে এই জেলেরা যখন গভীর সমুদ্রে থাকে তখন হঠাৎ কোন দুর্যোগ আসলে তারা কোন খবর পায় না। সম্প্রতি হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে ১০ জন জেলের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তাই সাগরে মাছ ধরা জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগের আধুনিক ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে দাবি জানান এই মৎস্যজীবী নেতা।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান এই প্রতিবেদককে বলেন, আবহাওয়া বিভাগ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় আসানির পূর্বাভাস জারির পর তা মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলাগুলোতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। দুর্যোগের সময় যাতে স্থানীয় লোকজন আশ্রয় নিতে পারে সেজন্য জেলার ৩৪৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট উপজেলার স্কুল ও কলেজগুলো খুলে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় নগদ ১৭ লাখ টাকা ও ৫৮৬ মেট্রিক চাল বরাদ্দ রয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে অতিবৃষ্টি হলে যাতে সেই পানিতে নিচু এলাকায় জলাবদ্ধ না হতে পারে সেজন্য নদীখালের স্লুইস গেটগুলো পর্যবেক্ষণ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বাগেরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক আজিজুর রহমান এই প্রতিবেদককে বলেন, চলতি মৌসুমে বাগেরহাট জেলায় ৫৯ হাজার ২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের চারটি কম্বাইন্ড হারভেস্টার, ৯৭টি রিপার দিয়ে জমি মালিকদের ধান কেটে দিতে সহযোগিতা করা হয়েছে। বাগেরহাট জেলার ইতিমধ্যে ৯১ ভাগ জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তুলেছে কৃষক। দুর্যোগে ক্ষতি হতে পারে তেমন কোন ফসল বর্তমানে মাঠে নেই। আর যা আছে তা রক্ষা করতে স্ব স্ব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন।

(ঢাকাটাইমস/১০ মে/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :