কমলাপুর ম্যানেজারের ফোন-টাকা ১৯ দিনেও অনুদ্ধার, আসামি শনাক্ত!
ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিটি ছাড়ার প্রথম দিন গত ২৩ এপ্রিল কমলাপুর রেলস্টেশনের নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের সময় স্টেশন ম্যানেজারের দুটি মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ নগদ ৪৫ হাজার টাকা চুরি হয়ে যায়। ঘটনার ১৯ দিন পরও সেগুলো উদ্ধার হয়নি। তবে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
মোবাইল ও মানিব্যাগ খোয়া যাওয়ার ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় জিডি করেনি স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার।
জিডি তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইরে মঙ্গলবার কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল হক ওপরের তথ্যগুলো জানান।
ওসি বলেন, স্টেশন ম্যানেজারের জিডি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ দেখে চোরকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।
রেলওয়ে পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ ও আরও কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান মাজহারুল হক। তিনি আশা করেন, শিগগির চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন ও টাকা উদ্ধার করতে পারবেন।
সেদিন স্টেশন ম্যানেজার যখন কথা বলছিলেন, তখন সাংবাদিকদের সঙ্গে সেখানে বহিরাগত সাধারণ মানুষও ছিল। তেমনই একজনকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন সাংবাদিক ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘গণমাধ্যমের সঙ্গে স্টেশন ম্যানেজারের কথা বলার সময় তার (ম্যানেজার) পাশে থাকা এক ব্যক্তি টেবিলের ওপর থেকে মোবাইল ফোন ও ম্যানিব্যাগ তুলে নেন। আমি ভেবেছি ওই ব্যক্তি হয়তো স্টেশনের লোক। পরে জানা যায়, স্টেশন ম্যানেজারের মোবাইল ফোনসহ ম্যানিব্যাগ চুরি গেছে।’
গত ২৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ কক্ষে অগ্রিম ঈদযাত্রার টিকিট নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকরেন স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার। এ সময় পরনে কালো ট্রাউজার, গায়ে সাদা পাঞ্জাবি আর মাথায় টুপি পরা এক ব্যক্তি ম্যানেজারের বাঁ পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
সংবাদ ব্রিফিংয়ের বেশ কিছু ক্যামেরা ও মুঠোফোনের ভিডিও পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, স্টেশন ম্যানেজার চেয়ার থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তি দুটি মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। পরে তাকে স্টেশন চত্বরে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
স্টেশনের বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, স্টেশন ম্যানেজারের রুম থেকে বেরিয়ে ওই ব্যক্তি প্ল্যাটফরমে যান। এরপর প্ল্যাটফরম থেকে সাধারণ যাত্রীদের বের হওয়ার গেট দিয়ে দ্রুত পায়ে স্ট্যাশন ত্যাগ করেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি স্টেশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকবার পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে দেখেন।
খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন ও টাকা উদ্ধারের বিষয়ে জানতে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ারের ব্যক্তিগত অন্য মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করলেও তার সাড়া মেলেনি।
পরে স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সারের মোবাইল ফোন ও ম্যানিব্যাগ এখনো উদ্ধার হয়নি।’
(ঢাকাটাইমস/১০মে/এএইচ/মোআ)