ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বাধা হচ্ছে অপরিচর্যিত ছাদবাগান: তাপস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ মে ২০২২, ২৩:০২ | প্রকাশিত : ১১ মে ২০২২, ২৩:০১

অপরিচর্যিত ছাদবাগান ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার দুপুরে মিলব্যারাক সংলগ্ন ধোলাইখাল পাম্প স্টেশন ও জলাধার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, "আপনারা দেখেছেন, থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। গত বছর একটানা চার মাস বৃষ্টি হয়েছে। এবারও যদি সে রকম হয় তাহলে আমাদের জন্য কাজ করা অত্যন্ত দুরূহ হবে। কারণ আমাদের বাসায়, স্থাপনায়, বাড়ির আনাচে-কানাচে, ছাদবাগানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। ছাদবাগানগুলো যেন সঠিকভাবে পরিচর্যিত থাকে। সেজন্য ঢাকাবাসীর সহযোগিতা চাই। তাদের ছাদবাগানগুলো যেন পরিচর্যিত থাকে। অপরিচর্যিত ছাদবাগানে আমরা পানি জমে থাকতে দেখি এবং সেখানে লার্ভা জন্মায়। কিন্তু ছাদবাগান যদি যথাযথভাবে পরিচর্যা করা হয় তাহলে সেখানে লার্ভা জন্মাতে পারে না। সুতারাং, অপরিচর্যিত ছাদবাগান ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তাই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমি ঢাকাবাসীর সহযোগিতা চাই।"

এর আগে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ওয়ারিস্থ ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত এডিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ চিরুনি অভিযানের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "বর্ষা মৌসুমে শুরু হলে আমাদের দুটি মূল কাজ অগ্রাধিকার পায়। একটি হলো মশক নিধন ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাতে করে ঢাকাবাসী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত না হয় এবং দ্বিতীয়ত হলো জলাবদ্ধতা নিরসন, যাতে করে জলমগ্নতা না হয়। এই দুটি বিষয়কে বিবেচনা করেই আমরা এবার অগ্রিম কাজ আরম্ভ করেছি। সেই প্রেক্ষিতেই আপনারা জানেন যে, বর্ষা মৌসুমের আগেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রাক মৌসুমের একটি জরিপ করা হয়েছে। সেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তিনটি ওয়ার্ডকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এবং চারটি ওয়ার্ডকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা এই সাতটি ওয়ার্ডকে নিয়েই কাজ আরম্ভ করেছি যাতে করে কোথাও এই লার্ভা জমে না থাকতে পারে।"

আগামী আষাঢ় মাস থেকে মূল অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "এরই মাঝে আমরা সরকারের কাছে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছি যাতে করে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পারি। এছাড়াও এ মাসের ১৬ তারিখে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা করতে যাচ্ছি। মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমরা আরও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে চাই। আমরা আশা করছি, ঢাকাবাসী এ ব্যাপারে জাগ্রত হবে।"

এ সময় ঢাদসিক মেয়র তিনটি বাড়ির ছাদবাগান ও ছাদ স্বশরীরে প্রত্যক্ষ করেন এবং পানি জমে আছে এমন স্থানে কীটনাশক প্রয়োগের নির্দেশ দেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১১মে/কেআর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

পালিয়ে আসা সেনাসহ ২৮৮ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাল বিজিবি

উপজেলা নির্বাচনের প্রচারে এমপি নামলে ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর

‘মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে নেমে পরিবহন চাদাঁবাজরা সরকারের আস্থাভাজন হতে চায়’

রানা প্লাজা ধসের ১১ বছরেও ক্ষতিপূরণ পাননি, কাঁদলেন শ্রমিকরা

৬ বছরে ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৬৭৪, আহত ৪৭৬৫

হজযাত্রীর ভোগান্তি হলে এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: ধর্মমন্ত্রী

নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলেই কাজ বন্ধ: মেয়র তাপস 

সুষ্ঠু ভোট করতে প্রশাসনের উচ্চপদস্থদের সঙ্গে ইসির বৈঠক রবিবার

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :