মৌলভীবাজারে ভোজ্য তেলের চরম সংকট
মৌলভীবাজারে ভোজ্য তেলের মজুদ ফুরিয়ে গেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই একের পর এক দোকানে তেল শেষ হয়ে আসছিলো। বিকালে অধিকাংশ দোকানেই সাফ জবাব তেল নেই। কিছু দোকানে বোতলজাত সয়াবিন আর সরিষার তেল পাওয়া গেলেও উচ্চ মূল্যে বিক্রি হতে দেখা যায়।
চৌমুহনী টিসি মার্কেট পশ্চিম বাজারের বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি দোকান ঘুরে দেখা যায়, পাম তেল একেবারেই নেই। সয়াবিন ২-১ টি দোকানে লিমিটেড ক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে।
দেশে তেলের সংকটময় পরিস্থিতিতে রবিবার ভোক্তা অধিকার জেলার তেল মজুদের তথ্য সংগ্রহ করেছিলো। জানানো হয়েছিলো জেলার সাত উপজেলায় সর্বশেষ সাড়ে ১১ হাজার লিটারের মতো ভোজ্য তেল মজুদ আছে।
সরকার ভোজ্য তেলের নতুন মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও বাজারে তেলের সংকট না কাটায় এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
জানা গেছে, ভোজ্য তেলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন তেল কোম্পানির প্রতিনিধির মাধ্যমে নিজেদের চাহিদা জানালেও মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত এই তেল বাজারে পৌঁছায়নি। এমন অবস্থা আরও দুই-একদিন অব্যাহত থাকলে যেকোনো মুহূর্তে তেলের মজুদ শেষ হয়ে সংকট ঘনিভুত হতে পারে।
এদিকে নতুন তেল না আসলেও পুরনো ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে নতুন দামে। প্রতি প্যাকেট পাম তেল ১৯০ টাকা এবং সয়াবিন তেল ২১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আল আমিন ঢাকা টাইমসকে জানান, মৌলভীবাজারে ভোজ্য তেলের সংকট আছে। অবশ্য ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে জানিয়েছেন কোম্পানিগুলো তাদের কাছে থেকে তেলের অর্ডার নিয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে তেলের চালান চলে আসবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ভোজ্য তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ শুরু করেছিলাম। দেখলেন তো সবই!
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ হাসান বলেন, বিষয়টি আমরা দেখছি।(ঢাকাটাইমস/১২মে/এসএ)