নেছারাবাদে শাশুড়ি-ননদের মারধরে গৃহবধূ হাসপাতালে

পিরোজপুর, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ মে ২০২২, ১৭:০৫ | প্রকাশিত : ১২ মে ২০২২, ১৭:০২

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় দৈয়ারি ইউনিয়নে বিয়ের সাত মাসেও স্ত্রীর মর্যাদা না পেয়ে অধিকার নিয়ে শশুরবাড়ি ওঠায় শাশুড়ি ও ননদের নির্যাতনের শিকাড় হয়ে মিতু আক্তার(২০) নামে এক গৃহবধূ হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। বুধবার সন্ধ্যার পর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে চিড়াবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনকারী ওই শাশুড়ির নাম রিনাকা বেগম এবং ননদ অন্যন্যা। ওই গৃহবধূ একই গ্রামের মো. জাহাঙ্গীরের মেয়ে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। গৃহবধূ মিতুর স্বামী মো. লিমন(২৬) ওই গ্রামের প্রবাসী মো. মজিবুর রহমানের ছেলে।

ভুক্তভোগী মিতু হাসপাতালের বেডে বসে অভিযোগ করে জানান, কলেজে পড়াকালে চিনাবুনিয়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে লিমন তাকে প্রায়ই বিয়ের আশ্বাসে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে তার প্রস্তাবে রাজি হলে একদিন সে তাদের বাড়িতে আমাকে নিয়ে যায়। আমার মা অন্যত্র বিয়ে বসেছে। অভিভাবক বলতে আমার নানা ছাড়া কেউ নেই। তাদের বাড়িতে যাওয়ার পর তার মা আমাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। এজন্য আমি সম্পর্ক ভেঙে মঠবাড়ীয়া থানায় আমার নানা বাড়িতে বসবাস করি। লিমন খোঁজ নিয়ে সেখানে গিয়ে আমাকে বিয়ের কথা বলে। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে সে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবে বলে আমাকে ভয় দেখায়। পরে আমরা বিয়ে করি। বিয়ের সাত মাস অতিক্রম হলেও সে আমাকে শশুর বাড়িতে নেয়নি। তবে মাসে চার-পাঁচবার আমার কাছে এসে থাকত। মাসাধিককাল ধরে আমার কাছে না আসায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি লিমন আরো একটি বিয়ে করেছে। সেই খোঁজ নিতে গত বুধবার সন্ধ্যায় শশুর বাড়ি গিয়ে স্বামীর খোঁজ নিলে শাশুড়ি রিনিকা এবং ননদ অনন্যা আমাকে বেদম মারধর করে গলা টিপে সুপারি গাছের সঙ্গে মাথায় আঘাত করেন। এসময় নানা শ্বশুর এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করে সজোরে থাপ্পড় দেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য গহবধূর স্বামী লিমনকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করে কথা না বলে কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন কেটে দেন।

মিতুর শশুর বাড়ির প্রতিবেশী লিলিয়া বেগম বলেন, মিতু গিয়ে তার শশুরের ঘরে ওঠামাত্র তার শাশুড়ি এসে মিতুকে মারতে থাকে। এসময় সে ডাক চিৎকার দিলে তার ননদ অন্যন্যাও ছুটে এসে মিতুকে মারতে মারতে বাড়ির উঠানে ফেলে দেয়। পরে আমরা কয়েজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।

সংরক্ষিত ইউপি সদস্য তারান্নুম আক্তার বলেন, ঘটনা সত্য। মেয়েটা স্বামীর অধিকার নিয়ে শশুর বাড়ি ওঠা মাত্রই তার শাশুড়ি ও ননদ মিলে মিতুকে বেদম মারধর করে শ্বশুর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এর উচিত বিচার হওয়া দরকার।

দৈয়ারি ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহারুল ইসলাম বলেন, মেয়েটাকে মারধরের কথা শুনে আমি ঘটনাস্থলে একজন চৌকিদার ও ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নৃপেন মন্ডলকে পাঠিয়ে ছিলাম। মেয়েটার অবস্থা খারাপ শুনে আগে তাকে চিকিৎসার জন্য নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১২মে/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :