সেই তরুণীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আদালতের নির্দেশ

বরগুনা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ মে ২০২২, ০১:৩৪

বিয়ের দাবিতে ঢাকার উত্তরা থেকে বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালীতে এসে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়া জামালপুরের তরুণীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল আদালত এ আদেশ দেন।

বাদীর আইনজীবী সাইমুল ইসলাম রাব্বি আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আইনজীবী রাব্বি জানান, ঢাকার উত্তরা থেকে আসা জামালপুরের ওই তরুণী নিজেকে একটি বেসরকারি ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ছাত্রী পরিচয় দিয়ে ২৮ এপ্রিল রাজধানীর উত্তরার একটি ইউনিভার্সিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যায়নরত এক ছাত্রের বাড়ি বরগুনার চান্দখালীতে এসে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন। পরে তার কথিত প্রেমিকের মামাকে অবরুদ্ধ করে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। সেখানে অবস্থান নিয়ে বিয়ের দাবি মেনে না নিলে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রের বাবা মা ওই বাসায় আসার পর তাদেরও অবরুদ্ধ করে ও স্থানীয়দের সহায়তা জিম্মি করে। ছাত্রের মা-বাবা ওই তরুণীকে তার আগের বিয়ের তালাকনামা, বৈধ অভিভাবক হাজির করা ও গণমাধ্যমের সাথে কথা না বলা এই তিনটি শর্ত দেয় এবং এসব শর্ত পূরণ করলে বিয়ের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্ত তরুণী শর্ত ভেঙে গণমাধ্যমে কথা বলা চালিয়ে যায় এবং বিয়ের তালাকনামা ও অভিভাবক হাজির করতে ব্যর্থ হয়ে উল্টো আত্মহত্যার হুমকি দিতে থাকে। এ অবস্থায় ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রের বাবা মঙ্গলবার বরগুনা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলে আদালত ওই তরুণীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ দেন।

মামলার বাদী ও ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রের বাবা মোশাররফ হোসেন বলেন, ওই তরুণী নিজেকে একটি ভার্সিটির আইন বিভাগে অধ্যায়নরত ও অবিবাহিত দাবি করে আমার ছেলের সাথে বিয়ের দাবিতে চান্দখালীতে আমার ভাড়া বাসায় এসে অবস্থান নেয়। আমরা তরুণীকে শর্ত দিয়েছিলাম। কিন্ত তিনি তার পূরণ করতে ব্যর্থ হয়ে উল্টো আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে আমাদের হয়রানি করে আসছে। আমরা তার অভিভাবকের সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়েছি। এমনকি সে ভার্সিটিতে পড়াশোনার বিষয়টি মিথ্যে বলেছে। তার আগের বিয়ের বিষয়টিও আমাদের কাছে গোপন করেছিল। পরে গণমাধ্যমের কল্যাণে আমরা সব জানতে পারি। এ অবস্থায় আদালতের কাছে আইনি প্রতিকার চেয়েছি। আদালত আদেশ দিয়েছে।

বেতাগী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম হাওলাদার বলেন, আমি এখনো আদালতের আদেশ হাতে পাইনি। আদেশ পেলে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/৫মে/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :