এআইবিএল ও এমবিএলে ৮ টাকায় লভ্যাংশ ১টাকা

প্রকাশ | ১৩ মে ২০২২, ১২:৪৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড ও এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট ৮ থেকে সাড়ে ৮ টাকা লেনদেন হওয়ার পরও ইউনিটপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দেযা হয়েছে। 

এ দুটি ফান্ডই পরিচালনা করে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এলআর গ্লোবাল।

বৃহস্পতিবার ফান্ড দুটির ট্রাস্টি বোর্ড গত মার্চে সমাপ্ত অর্থবছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুটি ফান্ডই ২০২১ সালে যত টাকা আয় করেছে, তার পুরোটাই লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর মধ্যে এমবিএলের ইউনিট দর ৮ টাকা, অর্থাৎ ১২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং এআইবিএলের ইউনিট দর ৮ টাকা ৫০ পয়সা, অর্থাৎ এর ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে পাওয়া যাবে।

এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক

এই ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা, আর লভ্যাংশ দেবে পুরোটাই।

আগের বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৮৩ পয়সা আয় করে লভ্যাংশ দিয়েছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা বা সাড়ে ১২ শতাংশ।

ওই বছর যত আয় হয়েছিল, তার পুরোটা লভ্যাংশ আকারে বিতরণ না করার কারণ তার আগের বছর ইউনিটপ্রতি ৬২ পয়সা লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণ।

এ ফান্ডটির ইউনিট মূল্য ৮ টাকা ৫০ পয়সা, যা গত এক বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানের কাছাকাছি। এই বছরে সবচেয়ে কম দাম ছিল ৮ টাকা ৩০ পয়সা আর সবচেয়ে বেশি দাম ছিল ১১ টাকা ১০ পয়সা।

গত বছর লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের দিন ফান্ডটির ইউনিট মূল্য ছিল ১০ টাকা ৯০ পয়সা। ১ টাকা ২৫ পয়সা লভ্যাংশ হিসেবে পাওয়ার পর ইউনিট মূল্য কমে যাওয়ার কারণে বিনিয়োগকারীরা আসলে লোকসানে আছেন।

গত ৩১ ডিসেম্বর ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিইউ) ছিল ১১ টাকা ২৩ পয়সা, যা এক বছর আগে ছিল ১১ টাকা ৫৭ পয়সা।

এই ফান্ডটির রেকর্ড ডেটও নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ জুন। অর্থাৎ যারা লভ্যাংশ নিতে চান, তাদের সেদিন ইউনিট ধরে রাখতে হবে।

এমবিএল ফার্স্ট

ইউনিটপ্রতি ৮ টাকায় লেনদেন হওয়া এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা, যা আগের বছরের প্রায় অর্ধেক।

২০২০ সালে সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৯৫ পয়সা। ওই বছর লভ্যাংশ এসেছিল ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ১৫ পয়সা।

সে বছর এবারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ আয় করার পরও লভ্যাংশ কম দেয়ার কারণ ছিল ২০১৯ সালে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি ৯৭ পয়সা লোকসান। সেই লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।

গত ৩১ ডিসেম্বর ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১১ টাকা ৮৩ পয়সা, এর আগের বছর ছিল ১১ টাকা ৮৯ পয়সা।

যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদের আগামী ৫ জুন ইউনিট ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে রেকর্ড ডেট।

গত এক বছরে ফান্ডটির ইউনিট মূল্য ৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৩০ পয়সা পর্যন্ত ওঠানামা করেছে।

গত বছর ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ১৫ পয়সা লভ্যাংশ পেয়েও বিনিয়োগকারীরা লাভবান হতে পারেননি। রেকর্ড ডেটের দিন ফান্ডটির ইউনিট মূল্য ছিল ১০ টাকা ১০ পয়সা। যারা লভ্যাংশ নিয়েছেন তারা এখনও লোকসানে আছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৩মে/বিএস/এফএ)