আলেমদের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা তাওহিদি জনতা বরদাশত করবে না: খেলাফত মজলিস

প্রকাশ | ১৩ মে ২০২২, ২০:২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশের শতাধিক আলেম ও ইসলামি বক্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকে অভিযোগ দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।

দলটির নেতারা বলছেন, ইসলামের দাওয়াত ও প্রচার-প্রসারের কার্যক্রমকে স্তব্ধ করতে ইসলাম ও আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধেএ অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। তাওহিদি জনতা কোনোভাবেই তা বরদাশত করবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে খেলাফত মজলিসের নেতারা এসব কথা বলেন।

গত বুধবার দুপুরে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে ‘গণকমিশন’ দুদকে একটি শ্বেতপত্র জমা দেয়।

এতে মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা সাজিদুর রহমান,  মুফতি রেজাউল করিম, মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম, মাওলানা খোরশেদ আলম কাসেমী, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (বাশার), মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মুফতি দিলওয়ার হোসাইন সাইফী, মাওলানা সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন জাফরী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ভূজপুরী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, মাওলানা মুহিব খান, মুফতি সাঈদ আহমদ কলরব, মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন, মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তাহেরী, মাওলানা আব্দুর রহিম বিপ্লবী,  মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, মাওলানা বজলুর রশিদ, ১মুফতি নাজিবুল্লাহ আফসারী, মাওলানা ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানী, মুফতি নূর হোসেন নুরানীসহ ১১৬ জন ইসলামি বক্তা ও আলেমের নাম রয়েছে।

গণকমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজসহ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল বলছে, গণকমিশন তাদের তদন্তে তালিকায় নাম থাকাদের দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। তারা মানি লন্ডারিং করেছেন। জামায়াত ও ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে জঙ্গিবাদ ছড়াতে অর্থায়ন করা হচ্ছে।

এর প্রতিবাদে আজ খেলাফত মজলিসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে নেওয়া এক প্রস্তাবে দেশের আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে এটি দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের হীন চক্রান্তেরও অংশ। তথাকথিত গণকমিশনের এ তৎপরতা ইসলামের প্রচার-প্রসারকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য একদল পরজীবী ইসলাম বিদ্বেষী চক্রের ধারাবাহিক অপচেষ্টার অংশ।’

বিজ্ঞপ্তিতে খেলাফতের নেতারা আরও বলেন, ‘দেশের আলেম-ওলামা ও ইসলামী বক্তারা আবহমানকাল থেকে ধর্মীয় সভা, ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে মানুষকে ন্যায় ও সত্যের দিকে শান্তির ধর্ম ইসলামের দিকে উদ্বুদ্ধ করে আসছেন। ইসলামের প্রচার ও প্রসারে ওয়াজ-মাহফিল তথা ইসলামি সভার গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলামের দাওয়াত ও প্রচার-প্রসারের কার্যক্রমকে স্তব্ধ করতে ইসলাম ও আলেম-উলামাদের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা তাওহিদী জনতা কোনোভাবেই বরদাশত করবে না।’

ইসলাম ও আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে ‘চিহ্নিত ইসলাম বিদ্বেষী মহলের এমন হীন চক্রান্ত ও অপতৎপরতা’ অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়ে দলটির নেতারা বলেন, তা না হলে দেশ প্রেমিক তাওহিদী জনতা ইসলাম বিদ্বেষী চক্রের বিরুদ্ধে কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও রাখেন— নায়েবে আমির অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল হালিম, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আব্দুল জলিল প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৩মে/এমএইচ/ইএস)