হাতিয়ায় ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমাদানে বাধার অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ মে ২০২২, ২১:২৭

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলার হাতিয়ার ১ নং হরণী ও ২ নং চানন্দী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমাদানে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন এবং সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী প্রার্থীরা।

শুক্রবার বেলা ১১টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও ক্লাবের সহিদ উদ্দিন এস্কান্দার কচি মিলনায়তনে সম্মেলনে সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী লেলিয়ে দেয়ার অভিযোগ করেন প্রার্থীরা।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে ২নং চানন্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আমিরুল ইসলাম শামীম বলেন, গত ২৫ এপ্রিল হাতিয়ার হরণী ও চানন্দী ইউনিয়নের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী ৮ মে থেকে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার কথা থাকলেও আমরা প্রার্থীরা মোহাম্মদ আলীর সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে কোন মনোনয়ন সংগ্রহ করতে পারিনি। হাতিয়া উপজেলা থেকে এ দুটি ইউনিয়ন আলাদা (দ্বীপ) হওয়ায় সন্ত্রাসীরা নদীপথে ও নির্বাচন অফিসের সামনে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মনোনয়ন সংগ্রহে বাধা দিচ্ছে। সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের পে অর্ডার, চালান ফরম, মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয় ও মারধর করে।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা বলছে, সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলীর অনুসারী ছাড়া কাউকে মনোনয়ন সংগ্রহ করতে দেয়া হবে না। দুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থী ও আমাদের লোকজন বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন এবং এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এসময় হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুশফিকুর রহমান জানান, বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অনেক মেম্বার প্রার্থীর ওপর হামলা করেছে। তাদের সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা যেন নির্বাচনী সীমানায় ঢুকতে না পারে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে হরণী ও চানন্দী ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও উল্লেখিত ইউনিয়নগুলোর ১১ জন মেম্বার প্রার্থী ও এলাকার গণমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলীর বলেন, এগুলো হলো তাদের নাটক। এরা বছরের পর বছর এলাকায় থাকে না। ওইখানে মোট ভোটার প্রায় ৬৪ হাজার, তাদের কোন অভিযোগ নেই। এরা কিছু লোকজন ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এসব করছে। ভোট করলে এদের জামানতও থাকবে না, আমার কি প্রয়োজন তাদের বাধা দেওয়ার।

সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেছবাহ উদ্দিন বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। যেকোন সময় নির্দেশ চলে আসবে, আমাদের সুবর্ণচরের উপজেলা নির্বাচন অফিসার আছেন, ওনাকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। যারা হাতিয়াতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন তারা সুবর্ণচর নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন গ্রহণ ও জমাও দিতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, হাতিয়ার হরণী ও চানন্দী নামে এ দুটি ইউনিয়ন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে আবার জেগে ওঠে। ২০০৩ সালে বিএনপির শাসনামলে দুটি ইউনিয়ন আবার ঘোষণা দিলে ২০০৫ সালে তা গেজেট আকারে প্রকাশ হয়। সেই থেকে এই ইউনিয়ন দুটি প্রশাসক নিয়োগ করে পরিচালনা করা হচ্ছে। আগামী ১৫ জুন হরণী ও চানন্দী ইউনিয়নে নির্বাচন অনষ্ঠিত হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৩মে/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :