পিকে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৪ মে ২০২২, ১৫:৫০ | আপডেট: ১৪ মে ২০২২, ২০:২২

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে বিদেশে পলাতক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার ওরফে পিকে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার হওয়ার খবর এসেছে।

নাম বদলে দেশটিতে অবস্থান করা পিকে হালদারকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের অর্থ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট—ইডি। একইসঙ্গে তার পাঁচ সহযোগীও ধরা পড়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে।

এর আগে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগরসহ অন্তত দশটি জায়গায় একযোগে অভিযান চালায় ইডি। অভিযানে পিকে হালদারের অর্থ পাচারের বেশকিছু নথিপত্রসহ স্বপন মিত্র নামে একজনকে আটক করা হয়। শনিবারও পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের সন্ধানে ভারতের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ইডি।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও দুদকের অনুরোধে ভারতের অর্থ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এ অভিযান চালাচ্ছে বলে ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন—দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

শুক্রবার অশোকনগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভারতী ক্লাব এলাকার সুকুমার মৃধা, তার মেয়েজামাই সঞ্জীব হাওলাদার, পিকে হালদারের আত্মীয় প্রণব কুমার হালদার, তার দুই ছেলের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়।

সুকুমার মৃধা দেশে পিকে হালদারের আইনজীবী ছিলেন। পিকে হালদার কাণ্ডে মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাসহ তাকে গেল বছর দুদক গ্রেপ্তার করার পর তারা এখন কারাগারে।

অশোকনগরে মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত সুকুমার পিকে হালদারের ঘনিষ্ট সহযোগী। তবে তিনি সেখানে নিজেকে পিকে হালদারের ক্লায়েন্ট হিসেবে পরিচয় দিতেন।

ইডির সূত্র বলছে, বাংলাদেশ থেকে পিকে হালদারের লুট করা টাকা দিয়ে বিপুল সম্পত্তি ক্রয়ে এই দুজনের দীর্ঘদিনের যোগসাজশ রয়েছে। অশোকনগরের নবজীবন পল্লীতে প্রশান্ত কুমার হালদারের আত্মীয় প্রণব কুমার হালদারের বিলাসবহুল বাগানবাড়ি রয়েছে। এটির পাশেই সুকুমার মৃধার আছে আরেকটি বিলাসবহুল বাগানবাড়ি।

অশোকনগরের এই এলাকাতেই একাধিক সম্পত্তি ক্রয় করেছে পিকে হালদার-সুকুমার মৃধা জুটি। শুক্রবার এখানকার তিনবাড়িতে অভিযান চালানোর সময় সুকুমার মৃধার জামাতা সঞ্জীব হাওলাদারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

অশোকনগরের যে বাগানবাড়িতে সঞ্জীব থাকতেন সেটি পিকে হালদারের ভাই প্রীতিশ হালদারের নামে কেনা। তবে তিন বছর আগে সুকুমার মৃধার কাছে প্রীতিশ বাড়িটি হস্তান্তর করেন।

শুক্রবারের ইডি অভিযানে স্বপন মিত্র নামে আরও এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তার কাছ থেকে বেশকিছু নথিপত্রও জব্দ করা হয়েছে। স্বপন মিত্র পিকে হালদারের অর্থ পাচারের সহযোগী বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

(ঢাকাটাইমস/১৪মে/এসআর/কেএম/ডিএম)