লোহাগাড়ায় যৌতুক না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ডিভোর্স

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ মে ২০২২, ১৫:২৫

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় অতিরিক্ত যৌতুক না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ডিভোর্স দিলেন স্বামী। এ নিয়ে হতাশায় জীবন-যাপন করছে ভুক্তভোগী স্ত্রী ও তার পরিবার। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মানবাধিকার কমিশনের নেতারা। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্ত্রী।

সূত্র মতে, ২০২১ সালের জুলাই মাসে চট্টগ্রাম লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া ১নং ওয়ার্ড হিন্দু পাড়ার হরিদাশ সূত্রধর এর মেয়ে রুবি সূত্রধর ও পশ্চিম আমিরাবাদ বণিক পাড়ার অজিত নন্দীর ছেলে বিপ্লব নন্দীর সঙ্গে সাতকানিয়া এওচিয়া টেককালী মন্দিরে হিন্দু ধর্মরীতি অনুসারে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরবর্তীতে নোটারি পাবলিকে ধর্মীয় বিধান অনুসারে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়। এরপর স্বামী-স্ত্রী দুজনই স্ত্রীর বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন। এরই মধ্যে স্বামী বিপ্লব নন্দী স্ত্রীর বাড়ি থেকে তিন লাখ টাকা যৌতুক নেন এবং স্ত্রীকে আগামী মাসে তার বাড়িতে তুলে নেবেন বলে অঙ্গীকার করেন। সময়ের ব্যবধানে বিপ্লব নন্দী স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যায়নি, বরং আবারও স্ত্রীর বাড়ি থেকে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তবে মেয়ের বিয়ে দিয়ে প্রায় নিঃস্ব পিতা পুনরায় যৌতুকের দাবি মেটাতে অপারগতা প্রকাশ করলে বিপ্লব নন্দী স্ত্রীর ওপর শুরু করে অমানবিক নির্যাতন। দিনের পর দিন মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের মাত্রা বাড়তেই থাকে। গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে স্ত্রী রুবি সূত্রধর স্বামীর আঘাতে আহত হয়ে ভর্তি হন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রুবি সূত্রধর বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্রে লোহাগাড়া থানা পুলিশ স্বামী বিপ্লব নন্দীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। কারাবাসের পর জামিনে বের হয়ে বিপ্লব নন্দী আবারও স্ত্রী ও স্ত্রীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিপ্লব নন্দীর মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে, অভিযুক্তের পিতা অজিত নন্দী বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ছেলে বিপ্লব নন্দীর সাথে তাদের পারিবারিক কোনো সম্পর্ক নেই।

এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, “এ বিষয়ে একটি মামলার কপি পেয়েছিলাম এবং সে অনুযায়ী বিপ্লব নন্দীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছিল। মামলাটি এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।”

(ঢাকাটাইমস/১৬মে/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :